Minister for Coffee: বিশ্বের কোনও দেশে এই বিষয়ক কোনও মন্ত্রীকে আজ পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়নি, এই প্রথম…

Minister for Coffee: বিশ্বের কোনও দেশে এই বিষয়ক কোনও মন্ত্রীকে আজ পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়নি, এই প্রথম…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে, বাড়ছে নজরদারি বা দেখভালের পরিসরও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ও বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করতে মন্ত্রী নিয়োগ করে। কিন্তু বিশ্বে কোথাও এত দিন কফিবিষয়ক মন্ত্রী কোথাও নিয়োগ করা হয়নি। সম্প্রতি পাপুয়া নিউগিনির সরকার দেশের কফি আরও জনপ্রিয় করে তুলতে একজন মন্ত্রী নিয়োগ করেছে। এই মন্ত্রীর কাজ হবে কফিবিষয়ক নানা কিছু দেখভাল করা। কেন এই সিদ্ধান্ত? কারণ, পাপুয়া নিউ গিনিতে কফি অতি গুরুত্বপূর্ণ এক বাণিজ্যিক উপকরণ। মোট কৃষি-রফতানির ২৭ শতাংশই কফি। আর দেশটির মোট জিডিপি’র ৬ শতাংশ আসে কফির ব্যবসাসূত্রেই। সম্ভবত তাই হয় পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী তাঁর নবনিযুক্ত মন্ত্রীকে বলেছেন, চলতে-ফিরতে আড্ডায়-গল্পে– সব জায়গায় তিনি যেন কফি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

শুধু কফির বিষয়টি দেখতে মন্ত্রী পদে নিয়োগের ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। সেদিক থেকে এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ মাসে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জেমস মারাপে। কয়েকদিন আগে তিনি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন। তাঁর মন্ত্রিসভার নতুন দুটি পদ আলোচনায় এসেছে। একটি হচ্ছে কফিমন্ত্রী ও অন্যটি পাম তেলবিষয়ক মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বলেছেন, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই তিনি এ দুটি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। কফি ও পাম তেল পাপুয়া নিউগিনির দুটি শীর্ষ রফতানি পণ্য। কফিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন দেশটির কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রাক্তন মন্ত্রী জো কুলি।

কফি দেশটির অতি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য-উপকরণ হলেও সেদেশের কফিশিল্প ইদানীং চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মারাপের আশা, একজন কফিমন্ত্রী নিয়োগ করলে এ পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে। জো কুলিকেই কেন? তারও কারণ আছে। নতুন মন্ত্রী জো কুলি সেদেশে কফির জন্য বিখ্যাত ওয়াঘি ভ্যালি অঞ্চলের মানুষ। সেই দিকে ইঙ্গিত করেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জো কুলির অন্য কোনো কাজ থাকবে না, সেরা কফি পান করানোই হবে তাঁর একমাত্র কাজ। তাই তাঁকে শুতে-ঘুমোতে, চলতে-ফিরতে শুধু কফি নিয়েই ভাবতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, গত তিন-চার দশকে পাপুয়া নিউগিনির প্রচলিত শস্যগুলি তার গুরুত্ব কিছুটা হারিয়েছে। সেগুলিকে ফের আলোচনায় ফিরিয়ে আনা জরুরি। তাই এগুলিকে এবার নির্দিষ্ট মন্ত্রীর অধীনে আনা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে সেগুলি হৃত মর্যাদা ফিরে পায়।