বাঘপত: জীবন (life) তাকে খুব বেশি সময় ও স্বস্তি দেয়নি। শেষ সফরেও (death) সামান্য মর্যাদা পেল না ২ বছরের খুদে (2 year old kid)। হাসপাতাল থেকে ভ্য়ান (hearse van) না পাওয়ায় তার দেহ হাতে (arms) নিয়ে গ্রামের পথে হাঁটা (barefoot walk) লাগাল দাদা (Elder brother)। উত্তরপ্রদেশের (uttarpradesh) বাঘপত জেলার ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই চোখের জল বাঁধ মানছে না নেটিজেনদের। এটুকুও কি করা যেত না শিশুটির জন্য? কী করছিল হাসপাতাল প্রশাসন?
কী ঘটেছিল?
মৃতের নাম কালা। তার বাবা, প্রবীণ কুমার পেশায় দিনমজুর। আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে ১ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া করে সন্তানের দেহ শামলি জেলার লিলোনখেড়ি গ্রামে নিয়ে যাবেন। ওই গ্রামেই পিতৃপুরুষের ভিটে প্রবীণ কুমারের। শেষ বারের মতো খুদেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বাবা। অভিযোগ, বাঘপতের জেলা হাসপাতালে বার বার এই মর্মে অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। শেষমেশ শিশুর দেহ দুহাতে তুলে নিয়ে হাঁটা দেয় ১০ বছরের দাদা। স্বচক্ষে সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভিডিও করেছিলেন। প্রশাসনকে সতর্কও করেন। তার পর ভ্যান পায় পরিবার। কিন্তু তার আগে কেন হাঁটতে হল খুদেকে নিয়ে ? এমন মর্মান্তিক ছবি কেন দেখতে হল, প্রশ্ন উঠছেই। প্রশাসনের অবশ্য় দাবি, ওঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। শোনেননি।
মৃত্যুর কারণ…
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছ, গত শুক্রবার বাঘপতে দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়ের উপর একটি ব্যাঙ্কের কাছে গাড়ির তলায় চাপা পড়ে যায় ২ বছরের বাচ্চাটি। টানা কান্নায় বিরক্ত হয়ে সৎমা তাকে ধাক্কা দিয়েছিল। তার পরই ওই ঘটনা ঘটে, দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সৎমাকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও তাঁর দাবি, বাচ্চাটির ক্ষতি করার জন্য কিছু করেননি তিনি। এর পরই কালার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পর দিন, সেখান থেকে ফেরার সময়ই ওই ঘটনা। প্রবীণের সঙ্গে তাঁর বড় ছেলে সাগর ও এক আত্মীয়ও ছিলেন বলে খবর। সেই আত্মীয়ই পরে জানান, বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কেউ ভ্যানের ব্য়বস্থা করেননি। তার পরই শিশুর দেহ দুহাতে তুলে নেয় বাবা। কিন্তু কয়েক মিটার যেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সাগরের হাতে দিয়ে দেন কালাকে। এই ঘটনা ওডিশার কালাহান্ডির দানা মাঝির স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে অনেককে। স্ত্রী দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনিও। সেই ছবি নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে।
এত বছর পর কার্যত একই স্মৃতি ফিরে এল উত্তরপ্রদেশের বাঘপতে।
(Source: abplive.com)