আমি আজ যে ভাবে মরছি, সেও যেন এ ভাবেই মরে, দুমকা-কাণ্ডে শেষ বয়ান অঙ্কিতার

আমি আজ যে ভাবে মরছি, সেও যেন এ ভাবেই মরে, দুমকা-কাণ্ডে শেষ বয়ান অঙ্কিতার

#দুমকা: গত রবিবার লড়াই শেষ হল ১৯ বছরের অঙ্কিতার কুমারির। ব্যক্তির প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করায় গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হল তরুণীকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল নৃশংস এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের দুমকার দুধানি চৌকে। মৃতার জন্য সুবিচার চেয়ে প্রতিবাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

সেই অঙ্কিতার দু’টি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। একটি ভিডিওতে অঙ্কিতা প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। অন্য ভিডিওতে তিনি সকলকে জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের দাদা খুবই ভয়ানক প্রকৃতির মানুষ। আইনকে ভয় পান না তিনি। তাঁর ভাইকে জেলে দিলে নাকি অঙ্কিতাকে মেরে ফেলবে, এমন হুমকিও দিয়েছেন এই ঘটনার পরে। সেখানেই মৃত্যুশয্যায় অঙ্কিতা বলছেন, ”আমি আজ যে ভাবে মরছি, সে-ও যেন একই ভাবে মরে।”

তরুণীর বয়ান থেকেই জানা যায়, ফোন করে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য জোরাজুরি করত অভিযুক্ত। তাঁকে অনুসরণ করত। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে বয়ান দেওয়া হয়েছে, তাতে লেখা, ‘সোমবার রাত ৮টায় ও আমাকে আবার ফোন করে। আমাকে হুমকি দেয় যে ওর সঙ্গে কথা না বললে আমাকে খুন করবে। আমি সবটা বাবাকে জানাই। বাবা বলেন, মঙ্গলবার ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। রাতের খাওয়া দাওয়া করে শুতে যাই। আমি একা অন্য ঘরে শুয়েছিলাম। মঙ্গলবার ভোরে আমার গায়ে জ্বালা অনুভব করতেই এবং পোড়়া গন্ধ পাই। চোখ মেলে দেখি ও পালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে ওর বন্ধু ছোটুও ছিল। আমি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে বাবার ঘরে যাই। তার পল আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’

দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে তাঁর পরিবার সঙ্গে সঙ্গে তার পর ফুলো ঝানো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তার পর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার ফলে মেয়েটিকে আর বাঁচানো যায়নি। রবিবার মধ্য রাতে আড়াইটে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Published by:Teesta Barman

(Source: news18.com)