হাইলাইট
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে
- উদ্বাস্তুদের কারণে বাংলাদেশে অপরাধ বেড়েছে
- ছিনতাই থেকে শুরু করে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে অপরাধ রোধে প্রয়োজনে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সেনা মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও মাদক পাচার বন্ধ করা যাবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজার এলাকায় গত পাঁচ বছরে হত্যা, ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা প্রায় সাত গুণ বেড়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বারবার পুলিশ রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সেই শিবিরগুলো উগ্র গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হবে যাতে তারা কোনো অবৈধ কাজ করতে না পারে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারের প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি শিগগিরই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। সরকারের প্রচেষ্টা এখনো চলছে।
সু চি’র প্রস্থান পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে
বর্তমান সামরিক শাসনামলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচির শাসনামলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। কামাল বলেন, নাফ নদীর সীমান্তবর্তী বহুল ব্যবহৃত রুট ছাড়াও সীমাবদ্ধ ভূমিও সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এ পরিস্থিতি সামনে আসে।
স্থানীয় জনসংখ্যার তুলনায় বৃদ্ধির হার বেশি
স্থানীয় জনসংখ্যার এক শতাংশের বিপরীতে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে কক্সবাজার এলাকায় অপরাধ বেড়েছে প্রায় সাতগুণ। 2017 সালে অপরাধের 76টি মামলা রিপোর্ট করা হয়েছিল এবং 159 জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যেখানে 1,024টি গ্রেপ্তারের সাথে 2021 সালে অপরাধমূলক মামলার সংখ্যা বেড়ে 507-এ দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ, যেটি 2017 সালে মিয়ানমারের সামরিক দমন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খোলাখুলিভাবে স্বাগত জানিয়েছে, তাদের দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যা এবং অপরাধে জড়িত থাকার কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে। কারণ পাঁচ বছর পার হলেও দেশটি এখনো সংকটের সমাধান খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে।
(Source: indiatv.in)