#কলকাতা: কবি কাজী নজরুল ইসলামেরই গান, তাঁরই বংশধর। সদ্যই মুক্তি পেল নূপুর কাজীর গাওয়া ‘বুলবুলি নীরব নার্গিস বনে’। কাজীর বড়দাদার ছেলে ছিলেন নূপুরের দাদু। আর তিনি ছিলেন কাজীর ছায়াসঙ্গী। কাজীর পরিবারের কন্যা বলে তাঁর উপর বিশেষ দায়িত্ব আছে বলে মনে করেন গায়িকা। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন ভাবে নজরুলের গান তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন নূপুর।
মূলত আধুনিক বাংলা গানের সাধনা করে এসেছেন ছোট থেকে। কিন্তু বড় হওয়ার পর তিনি বুঝলেন, কাজী নজরুল ইসলামের মতো আধুনিক গান কমই রয়েছে। যেই সময়ে দাঁড়িয়ে কবি সেই গানগুলি রচনা করেছিলেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে নজরুল গীতিকে বিশেষ ভাবে আধুনিক গানের পর্যায়ে ফেলা উচিত বলে মত গায়িকার।
আর তাই নতুন করে নজরুল গীতি নিয়ে কাজ করা শুরু করেন কবিরই বংশধর, নূপুর। তাঁর ইচ্ছে, নতুন প্রজন্ম যেন কবিকে আরও ভাল ভাবে চিনতে পারে, কাজীর জীবন ও লড়াই যেন ছেলেমেয়েদের উদবুদ্ধ করে।
‘কোক স্টুডিও’র ঘরানায় নতুন অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। সেখানে চারটি গান নজরুলের। চারটি বাংলার অন্য আধুনিক গান। কবীর প্রয়াণ দিবসে ‘বুলবুলি নীরব’ গানটি মুক্তি পেয়েছে। বাকি আর তিনটি গান হল, ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন’, ‘জাগো নারী জাগো’, ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’।
নূপুরের কথায়, “কবি যে কত বড় প্রেমিক ছিলেন, তা এই গানটি শুনলে বোঝা যায়।” যদিও এই গানটি কবি লিখেছিলেন তাঁর ছেলে বুলবুল বসন্ত রোগে মারা যাওয়ার পরে। ছেলের মৃত্যুর পর অনেক দিন ধরে কিছু লিখতে পারেননি তিনি। পরবর্তী কালে যখন গ্রামোফোন কোম্পানিতে চাকরি পেলেন, তখন এই গানটি লেখেন কবি।