জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রীলঙ্কা জুড়ে নানা বিপর্যয়। রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকটের শেষ নেই সেখানে। তবে পরিস্থিতি একটু একটু করে স্থিতিশীল হচ্ছে। অন্তত হওয়ার দিকে মোড় ঘুরছে। সেই মোড় ঘোরার ধাপে এল বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা। অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। কিছুদিন আগেই সেখানে অর্থনৈতিক সঙ্কট রাজনৈতিক সঙ্কটের আকার নিয়েছিল। সেখানে রাজনৈতিক পালাবদল দেখেছে গোটা বিশ্ব। এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। কিন্তু এখনও ঋণে জর্জরিত রয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই আবহে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের দিকে তাকিয়েছিল তাঁর সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত আশার আলো দেখা গিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি দিল আন্তর্জাতিক বিশ্ব ব্যাংক তথা আইএমএফ। যদিও এখনও এই সাহায্য শ্রীলঙ্কাকে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এই সংক্রান্ত কথাবার্তা পাকা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে আইএমএফ-এর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কাকে যে অর্থসাহায্য করার কথা ভাবা হচ্ছে, সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্য সেদেশে একটা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি করে দেওয়া এবং এর ঋণ মিটিয়ে দিয়ে একে অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো। পাশাপাশি, আইএমএফ শ্রীলঙ্কার শাসনব্যবস্থার দুর্নীতির কথাও উল্লেখ করেছে।
অতএব পরিস্থিতি যা, তাতে আইএমএফ-এর ম্যানেজমেন্ট এবং এগজিকিউটিভ বোর্ডের অনুমোদন পেলেই শ্রীলঙ্কা পাবে এই ২৯০ কোটি ডলার অর্থ। ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আইএমএফ সব রকম ভাবে চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। এই ২৯০ কোটি ডলারের প্যাকজের মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ঘাটতি এবং চিনের ঋণের বোঝা কিছুটা কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার করুণ অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। খাবার, ওষুধ, জ্বালানি, কিছুই নেই সেদেশে। ভারতও খাদ্যসামগ্রী, জ্বালানি ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করেছে শ্রীলঙ্কাকে। চিনের থেকে নেওয়া ঋণের বোঝার ভারে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। মূলত এই অবস্থা থেকে দেশটিকে তুলে ধরতে অর্থ সাহায্য করতে চলেছে আইএমএফ বলেই জানা গিয়েছে।
তবে, দেশটির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার করব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেখানে করব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। আয়কর ব্যবস্থা নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ধাপ হতে চলেছে।
(Source: zeenews.com)