#তাইপেই: চিনকে উচিত শিক্ষা দিতে চায় আমেরিকা। তাই এবার তাইওয়ানকে বিশাল পরিমাণে সমরাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। এরমধ্যে ড্রোন থেকে শুরু করে কামান এবং আরো অনেক আধুনিক অস্ত্র রয়েছে। চিনা হামলা ঠেকানোর জন্য তাইওয়ানে সামরিক সাহায্য পাঠাতে সক্রিয় হল আমেরিকা। শুক্রবার আমেরিকার কংগ্রেসে তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮,৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার ওই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার আইনসভা। পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানকে দেওয়া নয়া সামরিক সহায়তার মধ্যে থাকছে ৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের (প্রায় ৫,৩০০ কোটি টাকা) ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’।
এর মাধ্যমে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আগেভাগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার সাহায্যে তা ধ্বংস করতে পারবে তাইওয়ান সেনা। এছাড়া রয়েছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের (প্রায় ২,৮৩০ কোটি টাকা) ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র।
তাইওয়ানকে দেওয়া আমেরিকার যুদ্ধবিমান এফ-১৬ থেকে যা ব্যবহার করা সম্ভব। আমেরিকা নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে অবস্থান নিয়েছে তাইওয়ান প্রণালীতে।
অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও মোতায়েন করেছে আমেরিকার সপ্তম নৌবহর। চিন আগেই জানিয়েছিল তাইওয়ান যদি আমেরিকার কথায় ওঠাবসা করে তার ফল ভাল হবে না। দুদিন আগে চিনের একটি ড্রোন গুলি করে নামায় তাইওয়ান। তারপর থেকে পরিস্থিতি আরো গরম হয়ে আছে।