বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নেপাল ও পাকিস্তানেও কি পরিস্থিতি খারাপ হতে চলেছে?

বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নেপাল ও পাকিস্তানেও কি পরিস্থিতি খারাপ হতে চলেছে?
ছবি সূত্র: রিপ্রেজেন্টেশনাল পিআইসি (পিটিআই)
বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট

হাইলাইট

  • শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে ব্যাপক উল্লম্ফন
  • নেপাল ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ

বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট: শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীর হচ্ছে, যার কারণে মানুষ এমনকি মৌলিক জিনিসগুলির জন্যও সংগ্রাম করছে এবং তাদের দাম আকাশচুম্বী হচ্ছে। এ কারণেই এখানকার মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভের আকারে বেরিয়ে আসছে এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করছে। জনগণের মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু জনসাধারণও এতে সন্তুষ্ট নয় এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছে।

যেভাবে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট এলো

শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট গভীর হওয়ার কারণ সরকারের ভুল ব্যবস্থাপনা বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা সরকার গত এক দশকে সরকারি সেবার জন্য ঋণের আকারে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান ঋণ দেশের অর্থনীতিতে আঘাত করেছে। এ ছাড়া বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে মানবসৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞও দেশে সংকট তৈরি করেছে। রাসায়নিক সারের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞাও কৃষকদের ওপর প্রভাব ফেলে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

নেপালেও কি পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে?

নেপাল থেকে রিপোর্ট এসেছে যে এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমদানি বিল বৃদ্ধির কারণে এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এটি আমদানি শক্তি ধরে রাখতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে নেপালকে অনেক আমদানি পণ্যের জন্য উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য অনেক প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নেপালের কোষাগারে প্রভাব ফেলছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ যে নেপালের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই এর আমদানি থেকে। এমতাবস্থায় তার আমদানি বিল বাড়লে সরাসরি তার অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ে।

অবনতিশীল অবস্থা থেকে পাকিস্তানও অক্ষত নয়

আর্থিক দিক থেকেও পাকিস্তানের অবস্থা ভালো নয়। এখানকার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা হয়তো কিছুদিনের জন্য শান্ত হয়েছে, কিন্তু আর্থিক অস্থিতিশীলতার ওপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পাকিস্তানের ঋণ ও দায় ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশ পরিচালনার জন্য পাকিস্তান সরকারের বিশাল অর্থ সংকট রয়েছে। এটি আইএমএফ থেকে ঋণও নিয়েছে এবং ডলারের বিপরীতে এর রুপিও দুর্বল। রুপি দুর্বল হওয়ার অর্থ হল তিনি নতুন ঋণ নাও নিতে পারেন, তবে তিনি যে ঋণ নিয়েছেন তার জন্য তাকে ডলারে বেশি দিতে হবে।

(Source: indiatv.in)