Bangladesh: আমাদের নিজস্ব গোরু আছে, ভারতীয় গোরুর উপর নির্ভর করে না বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

Bangladesh: আমাদের নিজস্ব গোরু আছে, ভারতীয় গোরুর উপর নির্ভর করে না বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামিকাল সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-সফরে আসছেন বলে নির্দিষ্ট হয়ে আছে। নয়াদিল্লিতে আসার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে হাসিনার। সফরের শেষ দিন রাজস্থানের অজমেঢ়ে যাবেন বলে ঠিক হয়ে আছে। ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। তবে এর মধ্যে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। দুদেশের জলবণ্টন সমস্যা, গোরুপাচার ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেন হাসিনা। ভারত থেকে আসা গোরুর উপর আর সেভাবে নির্ভর করে না বাংলাদেশ, ভারতের গোরুপাচার-কান্ডের সূত্রে জানিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোরুপাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন– গোরু পাচারের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। পাচার বন্ধ হবেও। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা হবেও। তবে ভারতকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

তবে এর মধ্যে সব চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ টানাপোড়েন, সেই জলবণ্টন সমস্যা, তা নিয়ে সফরের আগেই হাসিনার মন্তব্য। নদীজলবণ্টন নিয়ে হাসিনা বলেছেন, জলবণ্টন নিয়ে ভারতের আরও একটু উদারতা দেখানো উচিত। তাতে দু’দেশই উপকৃত হবে। আলোচনা শুরুর আগেই হাসিনার এই মন্তব্য থেকে আলোচনার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যেতে পারে বা ভারতের মনোভাব সম্পর্কে বাংলাদেশের মনোভাব ঠিক কীরকম– এই সব আঁচ করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেছেন, তিনি মনে করেন, জলসমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, ২৫ অগস্ট নতুন দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে সাতটি নদীকে জলবণ্টনের ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে খবর। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি এমন নদী রয়েছে, যেগুলির উপর দু’দেশই নির্ভরশীল। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জল নিয়ে যথাযথ চুক্তির বিষয়টি নিয়েও দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও এই জলবণ্টন সংক্রান্ত জট কাটেনি। হাসিনার এ বারের সফরে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছাড়া দুদেশের জলবণ্টনের বিষয়টি তাই প্রথম থেকেই যথেষ্ট গুরুত্ব পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তিস্তার জল নিয়ে ভারতের দিক থেকে কোনও সদর্থক ইঙ্গিত না পেলে, এ নিয়ে বাংলাদেশের তরফে বেশি কথা হাসিনা বলতে চাইছেন না বলেই খবর।

ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচারের অভিযোগে এই মুহূর্ত ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সরগরম। এই আবহেই সোমবার ভারতে আসার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। তার কয়েক ঘণ্টা আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে গোরু পাচার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের মত জানান। তিনি পরিষ্কার করে বলে দেন, ভারতের গোরুর উপর তাঁরা আর তেমন নির্ভর করেন না। তাঁদের দেশের নিজস্ব গোরু রয়েছে। গোরুর জোগান বাড়ানো হয়েছে।

২০১৯ সালে শেষ বার ভারতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। গত বছর মার্চে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েক বছরে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে বলেই মনে করছে দুদেশ। সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চাইছে বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি, কোভিড-পর্বে ভারতে যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে তা নিয়েও বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন হাসিনা।

(Source: zeenews.com)