সুইসাইড নোটে লেখা ছিল: মেয়ে আমাকে মাফ করে দাও, তোমার বাবাকে ছাড়া বাঁচা কঠিন হয়ে পড়েছে… এবং মহিলাটি ফাঁসে ঝুলে

সুইসাইড নোটে লেখা ছিল: মেয়ে আমাকে মাফ করে দাও, তোমার বাবাকে ছাড়া বাঁচা কঠিন হয়ে পড়েছে… এবং মহিলাটি ফাঁসে ঝুলে

মোরাদাবাদের মাঝোলা বুদ্ধি বিহারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক মহিলা। তার স্বামী করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে মারা গেছেন। যার

এরপর থেকে সে বিষণ্নতায় ভুগছিল। একমাত্র মেয়ের নামে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন তিনি। যেটিতে তিনি লিখেছেন ‘মেয়ে আমাকে ক্ষমা করে দাও, তোমার

বাবাকে ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন ছিল। বিলারির ভুদার বাসিন্দা প্রীতি সিং তোমার (৩৫) ছয় বছর আগে বাদাউনের বিলসি থানা এলাকার রাহানিয়া পিয়াউর বাসিন্দা দিনেশ প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। দীনেশ একজন গাড়ি চালক ছিলেন এবং করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে মারা যান। প্রীতি দুই মাস ধরে বুদ্ধি বিহারের সেন্ট মেরি স্কুলের পিছনে একটি ভাড়া বাড়িতে মেয়ে গার্গী (5) এবং শ্যালক প্রতাপ সিংকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সকাল দশটা নাগাদ গেটের কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল গার্গী। প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন সে বললো তার মা দোল খাচ্ছে।

লোকজনের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেট খুলে ঘরে প্রবেশ করে। তারপর দেখেন প্রীতির লাশ শাড়ির সাহায্যে জাল থেকে ঝুলছে। পুলিশ

ঘটনাস্থল থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে। যেখানে প্রীতি তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন মেয়ে গার্গী আমাকে ক্ষমা করে দাও। তোমার বাবাকে ছাড়া বাঁচো

কঠিন হয়ে গেছে। তোমাকে ভালোবাসা দিতে পারিনি তোমার বাবার মৃত্যু আমি ভুলতে পারি না।

স্বামী ছাড়া একজন নারী কি কষ্ট পেয়েছেন? তোমার বাবা চলে যাওয়ার পর আমি অনুভব করেছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাউকে বিরক্ত করবেন না। তুমি তোমার নানীর বাড়িতে থাকো এবং মন দিয়ে পড়ালেখা করো। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আসেন। ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা নেয়।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সিও সিভিল লাইনস অনুপ সিং জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।

ফাঁদে ঝুলছিল মহিলার লাশ

নিষ্পাপ মেয়ের মনে হলো মা দোলাচ্ছে, পাঁচ বছরের নিষ্পাপ কন্যা প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠলে মাকে দেখতে পাননি। মেয়েটি প্রথমে তার মাকে খুঁজল। তারপর কণ্ঠ দিলেন। নিরীহ কোন উত্তর পেল না। তিনি অন্য একটি ঘরে গিয়ে দেখেন, জাল থেকে শাড়ির সাহায্যে মহিলার লাশ ঝুলছে। সে তার পা ধরে ঝাঁকালো, কিন্তু সে উত্তর দিতে পারল না।