#কলকাতা: আজকাল চাকরির বাজারের হাল খুবই খারাপ। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পরে অবস্থা খুবই শোচনীয়। বহু ছেলেমেয়েই চাকরি না-পেয়ে বেকার। আর বেকারত্ব ঘোচাতে অনেকেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করছেন। আসলে বড় কোনও ব্যবসা শুরু করার পথে অর্থের অভাবটাই মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই পর্যাপ্ত পুঁজি বা মূলধনের অভাবে ব্যবসা শুরু করে উঠতে পারেন না। তবে আমরা একটা উপায়ের (Business ideas) কথা বলব, যেটার মাধ্যমে স্বল্প বিনিয়োগেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
আর সেই উপায়টা হল চাইনিজ খাবারের ব্যবসা (Chinese Food Business)। আসলে এই ব্যবসা করতে হলে লাগবে শুধু একটা মেশিন (Machine)। যার নাম ওক কুকিং মেশিন (Wok Cooking Machine)। অটেমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় এই মেশিনের মাধ্যমে চাউমিন, ফ্রায়েড রাইস, নানা ধরনের নুডলস, মাঞ্চুরিয়ান প্রভৃতি চাইনিজ খাবার অত্যন্ত কমে সময়ে তৈরি করে ফেলা যাবে।
মেশিনটির দাম কত?
প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে, ব্যবসা তো শুরু করাই যায়! কিন্তু এই মেশিনের দাম কত? জানা গিয়েছে, Wok Cooking Machine-এর দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। তবে আকার এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দামে তারতম্য আসতে পারে। এই মেশিনের সর্বোচ্চ দাম ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অনলাইনেই কেনা যাবে এটি। চাইনিজ খাবার প্রস্তুতকারী মেশিনটির অন্য়তম বৈশিষ্ট্য হল- এটি বিদ্যুৎ এবং এলপিজি গ্যাসের মাধ্যমে চালিত হয়।
কিন্তু কীভাবে ওই মেশিনটিতে খাবার তৈরি করা হয়? যে চাইনিজ খাবারটি তৈরি করতে চাইছি, সেই খাবারটির নাম কন্ট্রোল প্যানেলে সিলেক্ট করতে হবে। এর পরে মেশিনের ডিসপ্লে-তে ভেসে ওঠে নির্দেশাবলী। শুধুমাত্র সেই নির্দেশাবলী অনুসরণ করে উপকরণগুলি মেশিনে দিয়ে দিতে হবে। এ-বার মেশিন স্বয়ংক্রিয় ভাবে পুরো কাজটা সম্পন্ন করবে। দেখা যাবে, মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ২ মিনিট সময়েই পছন্দের খাবার সামনে হাজির। এর পর মেশিন থেকে খাবার সরাসরি পাতে তুলে নিলেই হল।
কেমন আয় হবে?
অধিকাংশ মানুষই চাইনিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন। ফলে এই খাবারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তাই Wok Cooking Machine ব্যবহার করে চাইনিজ খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারলে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে। সবথেকে বড় কথা হল, পরিষ্কার ভাবে এবং হাইজিন বজায় রেখেই এই মেশিনের মাধ্যমে রান্না করা সম্ভব। কারণ গ্লাভস পরেই এই মেশিনে রান্নার উপকরণ দিতে হয়। তা-হলে হিসেব বলছে, সবথেকে বেশি দুই মিনিটের মধ্যে এক প্লেট চাইনিজ খাবার রান্না করা গেলে এক ঘণ্টায় ৩০ প্লেট খাবার তৈরি করা যাবে।
এ-বার ধরা যাক, প্রতি প্লেট খাবারের দাম যদি ৩০ টাকা করে হয়ে থাকে, তা-হলে এক ঘণ্টায় আয় হবে মোট ৯০০ টাকা। আর যদি দিনে তিন ঘণ্টা কেউ কাজ করেন, তা-হলে তিনি দিনে প্রায় ২৭০০ টাকা রোজগার করতে পারবেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এই মেশিন দিয়ে দারুণ আয়ের পথ তৈরি করে নেওয়া যায়।