মো: মনির হোসেন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌর বিএনপির বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ত্যাগী ও সরকার দলের নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা এই পকেট কমিটি বাতিল করার দাবিতে আলোচনা সভা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ত্রিশাল পৌর শহরের আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান মার্কেটে পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন সরকারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা করা হয়।
ত্রিশাল পৌরসভার দুইবারের বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ডাঃ মাহবুবুর লিটন তার বাসায় আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সম্মলেনের নামে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর ও ত্রিশাল পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল করিম সেলিম, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক তারেকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য আসাদুল হক, ২নং ওয়ার্ডের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন, পৌর বিএনপির ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা দেলোয়ার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আরিফ ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা উসমান গনি কাজল, থানা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুম আলী মেম্বারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রায় একযুগ পর দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন চলাকালে উপস্থিত কাউন্সিলদের সমর্থন বা ভোট ছাড়াই সুপার ফাইভের ব্যক্তিগত রেজুলেশনের ভিত্তিতে সভাপতি পদে আলেক চান দেওয়ান ও সাধারল সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিলনের নাম ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত সমর্থকদের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। ওইদিন রাতেই পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও কাউন্সিলররা বিক্ষোভ মিছিল শেষে পূর্নাঙ্গ কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশ না করা ও গোপন কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন। পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর থেকে ত্রিশালে প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। ডা. লিটনের স্বেচ্ছাচারিতা ও জনবিচ্ছিন্ন পকেট কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল