এই সামুদ্রিক প্রাণীটি গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে পারদর্শী, পুরুষ সন্তান জন্ম দেয়, স্ত্রী নয়

এই সামুদ্রিক প্রাণীটি গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে পারদর্শী, পুরুষ সন্তান জন্ম দেয়, স্ত্রী নয়

ডিজিটাল ডেস্ক, ভোপাল। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র মেয়েরাই সন্তানের জন্ম দেয়, কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে এই পৃথিবীতে এমন একটি জীব আছে যার সন্তান জন্ম দেওয়ার দায়িত্ব পুরুষের। হ্যাঁ এটা সত্যি, এই প্রাণীটি সমুদ্রে পাওয়া যায়। এই প্রাণীটিকে সামুদ্রিক ঘোড়া বলা হয়। লন্ডনের একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী কেলেন ডয়েল তার প্রতিবেদনে দাবি করেছেন যে 10-15 বছর পরে সমুদ্র-ঘোড়া পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে পারে। সি হর্স মানে সামুদ্রিক ঘোড়া। তবে, এটি সামুদ্রিক ঘোড়া নয়, একটি সুন্দর মাছ, যার বৈজ্ঞানিক নাম হিপ্পোক্যাম্পাস।

এইভাবে গর্ভবতী হন

পুরুষ সামুদ্রিক ঘোড়ার লেজে নারীর জরায়ুর অনুরূপ একটি থলি থাকে যেখানে সে ভ্রূণকে সঞ্চয় করে। এটিতে এক ধরণের প্লাসেন্টা থাকে এবং এটি বিকাশমান ভ্রূণের সাথে সংযুক্ত থাকে। পুরুষ সামুদ্রিক ঘোড়াগুলিও বাচ্চাদের পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু এই গবেষণাটি পরামর্শ দেয় যে পুরুষ সামুদ্রিক ঘোড়ার অনন্য শারীরিক গঠন রয়েছে যা তারা বাচ্চাদের জন্ম দিতে ব্যবহার করে।

সামুদ্রিক ঘোড়ার দাঁত নেই

সামুদ্রিক ঘোড়ারও দাঁত নেই। বিশ্বব্যাপী এর প্রায় তিন ডজন প্রজাতি রয়েছে, যাদের বয়স 1-5 বছর। সামুদ্রিক ঘোড়া 15 থেকে 35 সেমি লম্বা। এটি বিশ্বের সমস্ত সমুদ্রে এক থেকে 15 মিটার গভীরতার অগভীর জলে পাওয়া যায়।

গিরগিটির মতো রং বদলায়
সামুদ্রিক ঘোড়া গিরগিটির মতো রঙ পরিবর্তন করতে পারে। সামুদ্রিক ঘোড়ার বিশেষত্ব হল এটি একবারে এক চোখ দিয়ে চারপাশ দেখতে পারে। এই প্রাণীগুলি সারা বিশ্বে পরিচিত কারণ পুরুষ এটিতে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। এতে স্ত্রী ঘোড়ার থলিতে ডিম পাড়ে। এরপর ৬ মাসের মধ্যে সন্তানের জন্ম হয়।