পৃথক দুই অভিযানে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যদিও অর্পিতা প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছেন যে এই টাকা তাঁর না। তবে ইডি হানার পর থেকেই অর্পিতার ঠাঁই হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এরই মধ্যে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। এই আবহে এবার অর্পিতার নামে থাকা ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার হদিস পেলেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতার নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। ওদিকে অর্পিতার সংস্থা ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ইডির দাবি, এই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে নগদ বা অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে। তবে লেনদেনে যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের সহ্গে ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। এই আবহে তদন্তকারীদের অভিযোগ, অ্যাকাউন্টের এই কোটি কোটি টাকার সঙ্গেও শিক্ষক দুর্নীতির যোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। বেলঘরিয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ। বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে। এর আগে অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে।