এটি একটা অত্যাধুনিক পদ্ধতি।
এই সংস্থার আধিকারিক এবং গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি একটা অত্যাধুনিক পদ্ধতি। শুধু তাই নয়, ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিরল এবং বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়া প্রানী এবং পশুদের বাঁচাতে পারা যাবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানের একটা দিক খুলে দিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মি জিডং জানিয়েছেন, বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের বাঁচাতে ২০২০ সালে হারবিন পোলারল্যান্ডের সঙ্গে হাত মেলানো হয়। আর এরপরেই আর্কটিক নেকড়েদের ক্লোনিং শুরু করে সংস্থা, দাবি সংস্থার জেলারেল ম্যানেজারের।
এমন পশুর জন্ম বিশ্বে প্রথম
গত দুবছর দীর্ঘ কষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি জিডং। তাঁর দাবি, দীর্ঘ দুবছর পর এই ক্লোনিং সফল হয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে এমন পশুর জন্ম বিশ্বে প্রথম বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। আর্কটিক নেকড়ের জন্ম ক্লোনিং প্রযুক্তির অগ্রগতির একটি মাইলফলক বলেও মনে করছেন গবেষকরা। তবে বিষয়টি সফল হওয়ার ফলে আগামিদিনে এই বিষয়ে আরও কাজ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। যা বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়া জীবদের বাঁচানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এমনকি জীবদের বাঁচানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
১৩৭টি নতুন ভ্রুণ তৈরি করতে হয়।
জানা যাচ্ছে, এই Arctic Wolf-এর জন্ম গত ১০ জুন ২০২২ সালে হয়। যার নাম রাখা হয়েছে মায়া। আপাতত এটি সুস্থ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এটি তৈরি করতে ডোনার কোষটি একটি মহিলা আর্কটিক নেকড়ের চামড়া থেকে নেওয়া হয়েছিল। যা কিনা কানাডা থেকে নিয়ে আসা হয়। অন্য একটি কুকুর থেকে বেশ কিছু সংগ্রহ করা হয়। তারপর এটি একটি বিগল জাতের কুকুরের গর্ভে সারোগেট করা হয়। এমন নেকড়ে তৈরি করতে ১৩৭টি নতুন ভ্রুণ তৈরি করতে হয়। সাতটি বিগল কুকুররের গর্ভে অন্তত ৮৫ টি ভ্রূণ ট্রান্সফার করা হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও সেগুলি থেকে মাত্র একটি ভ্রূণ বিকশিত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও পরীক্ষা চলবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।