হাতজোড় করলেন শুভেন্দু, প্রতি নমস্কার মমতার, সৌজন্যের সাক্ষী থাকল বিধানসভা

হাতজোড় করলেন শুভেন্দু, প্রতি নমস্কার মমতার, সৌজন্যের সাক্ষী থাকল বিধানসভা

একেবারে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল। আক্ষরিক অর্থেই যুযুধান। সেই লড়াইয়ের দুই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে একে অপরকে আক্রমণ করেন নিয়তই। তবে সোমবারও তরজা ছিল বিধানসভায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু শেষে যে ছবি দেখা গেল তা কেবলই সৌজন্যের। বিরোধী বেঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন খোদ মুখমন্ত্রী। সামনেই বিরোধী বিধায়করা। যাঁরা ক্রমাগত আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁদের দিকে নমস্কার করলেন তিনি। যে রাজনৈতিক সৌজন্য় প্রায় ভুলতে বসেছিল বাংলা, সেই ছবিই এদিন দেখা গেল বিধানসভার অন্দরে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে এদিন রাজ্যের তরফে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয়েছিল। এনিয়ে কার্যত সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভাকেন্দ্রের অন্দরে। এনিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা তৈরি হয় বিধানসভার অন্দরে। শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, এসব প্রস্তাব এনে  লাভ হবে না। তদন্তে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। আর পালটা মমতা প্রশ্ন তোলেন নারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরেও কেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে তল্লাশি করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল? মমতার খোঁচা, বিজেপি নেতারা এসব কী করছেন। তোমরা বুনো ওল হলে আমরা বাঘা তেঁতুল।

এরপরই নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই ভোটাভুটিতে জয়ী হয় শাসকদল। এরপর  বিরোধী বেঞ্চের দিকে হাতজোড় করে নমস্কার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শাসকদলের বিধায়করাও বিরোধী দলের বিধায়কদের নমস্কার করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দিকে নমস্কার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতি নমস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রীও। সৌজন্যের সেই ছবির সাক্ষী রইল বিধানসভা।