‘ভুয়ো নিয়োগপত্র’ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে কাজে যোগের চেষ্টা, শিলিগুড়িতে ধৃত বাবা-ছেলে

‘ভুয়ো নিয়োগপত্র’ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে কাজে যোগের চেষ্টা, শিলিগুড়িতে ধৃত বাবা-ছেলে

সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: ভুয়ো নিয়োগপত্র (fake recruitment letter) নিয়ে সরকারি হাসপাতালে (north bengal medical college) কাজে যোগ দিতে গিয়ে লকআপে (arrest) ঢুকতে হল বাবা-ছেলেকে (father-son) । শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ঘটনা। টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি পদে ভুয়ো নিয়োগপত্রের অভিযোগে বাবা-ছেলে সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কী ঘটেছিল?
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। বাগ কমিটির রিপোর্ট থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় আদালতে জমা পড়া CBI’এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট। অভিযোগ উঠছে পরীক্ষা না দিয়ে, প্যানেলভুক্ত না হয়েও নিয়োগপত্র পাওয়ার অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে এবার টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতেও। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ে গেলেন বাবা ও ছেলে, অভিযোগ এমনই। ধৃত উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বাসিন্দা শম্ভু দত্ত ও তাঁর ছেলে শুভঙ্কর দত্ত। পুলিশের দাবি, গ্রুপ ডি’র নিয়োগপত্র নিয়ে বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যান শুভঙ্কর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ওই নিয়োগপত্র যে ভুয়ো তা বুঝতে একটুও দেরি হয়নি অধ্যক্ষের। বাবা, ছেলেকে বসিয়ে রেখে, পুলিশে খবর দেন তিনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বললেন, ‘নিয়োগপত্র দেখেই বোঝা গিয়েছিল ভুয়ো।’ এর পর মাটিগাড়া থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি-র নিয়োগপত্র পান ধৃত যুবক। এই ঘটনায় করণদিঘি থেকে সঞ্জয়কুমার সরকার ও বাগডোগরা থেকে বাবলু রায় নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত সঞ্জয়ের কাছ থেকে নগদ প্রায় পৌনে দু’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

এসএসসি দুর্নীতি…
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি তুমুল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইডি-র দাবি পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা, বিপুল গয়না এবং একাধিক বেনামি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। খোঁজ মিলেছে বেশ কয়েকটি সংস্থারও। তদন্তকারীদের যুক্তি, এই বিপুল সম্পত্তির কোনও যুক্তিসঙ্গত উৎস দেখাতে পারেননি পার্থ ও অর্পিতা। আপাতত মামলা চলছে। সেই নিয়ে তুমুল আলোড়ন রাজ্যে। তার মধ্যেই ফের ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে সরকারি হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার এই নতুন অভিযোগ।