#কলকাতা: সুবিধাবাদী রাজনীতি করছেন মিঠুন চক্রবর্তী! এ বার অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তরফ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলেছিলেন, তিনি বামপন্থী, তাই পারবেন না হতে। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতেই সেই প্রস্তাব মিঠুন চক্রবর্তী নিয়েছেন বলে এ দিন দাবি করেছেন কুণাল।
তিনি জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে বলেছিলেন বলে জানি৷ মিঠুনদার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। কিন্তু উনি রাজনীতিতে বিশ্বাসঘাতক। ২০০৫ সালেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভায় যেতে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিঠুন দা নিজেকে বামপন্থী বলে দাবি করে গেলেন না। সেখানে স্বপনসাধন বসু গেলেন। উনি মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতেই মহাকরণে আমার সঙ্গে গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যসভায় গেলেন। এটা সুবিধাবাদী মানসিকতার পরিচয়। বলেছিলেন, মমতা আমার বোন, এই সম্মান মনে রাখব। আপনি বেইমানি করেছেন। বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বেইমান, বিশ্বাসঘাতকের জন্য ঘুঁটের মালা।”
এ দিন বিজেপি শিবির অভিযোগ করেছে, মিঠুন চক্রবর্তীকে হোটেল দেওয়া হচ্ছে না বালুরঘাটে। অভিযোগ উড়িয়ে কুণাল জানিয়েছেন, “আগে থেকে বুকিং থাকলে বা সংস্কার কাজ হলে দেওয়া হবে কী করে? এই সময় আগাম বুকিং থাকে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক কী? কই ত্রিপুরায় তো আমাদের হোটেলে উঠতে দেওয়া হত না। হোটেলে গুন্ডা পাঠানো হত। তখন অতিথি দেব ভবঃ মনে ছিল না। মিঠুন দা অনেক হোটেলে থেকেছেন। আমার সাথে কৃষ্ণনগরে থেকেছেন।”