২০০ কোটির প্রতারণা মামলায় জেলে যেতে যেতে বাঁচল জ্যকলিন, পেল অন্তর্বর্তী জামিন

২০০ কোটির প্রতারণা মামলায় জেলে যেতে যেতে বাঁচল জ্যকলিন, পেল অন্তর্বর্তী জামিন

আর্থিক প্রতারণার মামলায় বেশ ভালোই ফেঁসেছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে এখন ইডির নজরে অভিনেত্রী। ঘনঘন জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। সোমবার দিন ২০০ কোটির প্রতারণার মামলায় পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে ডাক পরেছিল ৩৭ বছরের শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রীর। তবে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য ৫০,০০০ টাকা জমায়েত রাখতে হয়েছে জ্যাকলিনকে। পরের শুনানি হওয়ার কথা ২২ অক্টোবর। এখন জেল হলে বেশ লম্বা সময়ের জন্য ভিতরে যেতে হত অভিনেত্রীকে। কারণ সামনেই উৎসবের মরশুম।

গত সপ্তাহেই দিল্লি পুলিশের Economic Offences Wing দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তাঁকে। ইডি-র অফিসেও গিয়েছেন অনেকবার। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও গুরুতর। ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, সব জেনেই সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জ্যাকলিন। এমনকী, বলিউডের অনেক সহকর্মী তাঁকে সুকেশকে নিয়ে সাবধান করলেও তিনি কান দেননি।

তদন্তে জ্যাকলিন আধিকারিকদের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন জেলে থাকা কনম্যান সুকেশ ডিজাইনার লীপাক্সিকে প্রচুর অর্থ দিয়েছিল তাঁর জন্য এক্সক্লুসিভ পোশাক বানাতে। সঙ্গে অভিনেত্রী এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন চেন্নাই সহ দেশের অনেক শহরের বড় বড় হোটেলে তিনি দেখা করেছিলেন সুকেশের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, শুধু অভিনেত্রী নন তাঁর পরিবারও সুকেশের থেকে সাহায্য নিয়েছে বলে দাবি করে ইডি। জানায়, জ্যাকলিনের অনুরোধে ১,৭২,৯১৩ ডলার (১ কোটি ৩৮ লক্ষরও বেশি) সুকেশ পাঠিয়েছিল অভিনেত্রীর বোন জেরাডলাইন জে ওয়াকারের অ্যাকাউন্টে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা জ্যাকলিনের ভাইকে পাঠানো হয়েছে ২৬,৪৭০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (ভারতীয় হিসেবে ১৪ লাখ টাকার বেশি)। বাহরাইনে থাকা জ্যাকলিনের মা-বাবাকে সুকেশ কিনে দিয়েছে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি- পোরশে আর মাসেরাটি। সঙ্গে নিজে তো একাধিক উপহার নিয়েইছে।

ইডি অনুসারে, জ্যাকলিন ওই কমাসে ৭ কোটির বেশি টাকার উপহার ও অর্থ নিয়েছিলেন সুকেশের থেকে। সঙ্গে অভিনেত্রীরই অনুরোধে এক লেখককে ১৫ লাখ টাকা দেন জ্যাকলিন। ইডি বলছে, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ইচ্ছাকৃতভাবেই সুকেশের অপরাধের রেকর্ড অদেখা করে গিয়েছে। সঙ্গে একধিক আর্থিক বিনিময়ও করে গিয়েছে। এই সম্পর্ক থেকে শুধু তিনিই আর্থিক সুবিধে নেননি, নিয়েছে তাঁর পরিবারও। আর তার থেকে এটাই বোঝা যায় অর্থের লোভে যেই মানুষটার সঙ্গে সম্পর্কে আছেন তাঁর অপরাধী মনোভাব কোনও গুরুত্বই পায়নি তাঁর কাছে।’