আপনি যদি অন্য দেশে বেড়াতে যাচ্ছেন, তবে প্রথমে তাদের অদ্ভুত এবং খারাপ নিয়মগুলি জেনে নিন

আপনি যদি অন্য দেশে বেড়াতে যাচ্ছেন, তবে প্রথমে তাদের অদ্ভুত এবং খারাপ নিয়মগুলি জেনে নিন

থাই মুদ্রায় পা রাখা থাইল্যান্ডে একটি বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত কারণ সেখানকার মুদ্রা রাজার ছবি বহন করে এবং তাতে পা রাখা তার মর্যাদাকে আঘাত করা।

প্রতিটি দেশের নিজস্ব নিয়ম-কানুন আছে এবং সেই দেশে বসবাস করার সময় সেই নিয়মগুলো মেনে চলা খুবই জরুরি। আপনি সেই দেশের বাসিন্দা হোন বা আপনি সেখানে বেড়াতে গেছেন। অনেক সময় সে দেশের নিয়মকানুন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে একজন ব্যক্তি আইনি ঝামেলায়ও পড়েন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কিছু দেশের নিয়ম-কানুন এতটাই অদ্ভুত যে যে কারো মন নাড়া দেয়। তাই আজ এই প্রবন্ধে আমরা আপনাকে এই দেশগুলি এবং তাদের নিয়ম সম্পর্কে বলছি-

শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধ ট্যাটু নিষিদ্ধ

এটি একটি খুব অদ্ভুত আইন, তবে আপনি যদি শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন তবে আপনার এটি সম্পর্কে জানা উচিত। শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধ ট্যাটু নিষিদ্ধ। অনেক পর্যটকের শরীরে বুদ্ধের ট্যাটু থাকার কারণে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা দেশটিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। সুতরাং, যদি আপনার শরীরে বুদ্ধের উলকি থাকে তবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে। এছাড়াও, নিশ্চিত করুন যে আপনি শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধ মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি বা পোজ তুলবেন না। এমনটা করলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

নেভাদায় গোঁফের লোকেরা চুম্বন করতে পারে না

আমরা যখন আমাদের সঙ্গীর সাথে কোথাও বাইরে যাই, তখন তারা তাদের সঙ্গীকে প্রকাশ্যে চুমু খেতে পছন্দ করে। কিন্তু আপনার যদি গোঁফ থাকে তবে আপনি ইউরেকা, নেভাডাতে চুম্বন করতে পারবেন না। নেভাদায় এমন অনেক অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে যা সহজে ব্যাখ্যা করা যায় না এবং ইউরেকাতে এমন একটি নিয়ম হল যে দাড়ি এবং গোঁফওয়ালা ব্যক্তিকে চুম্বন করা নিষিদ্ধ। তাই এখন আপনারও ক্লিন শেভেন হওয়ার পরেই আপনার সঙ্গীর সাথে নেভাদায় ঘোরাঘুরি করার পরিকল্পনা করা উচিত।

থাইল্যান্ডে অর্থের উপর পা রাখা অপরাধ

থাই মুদ্রায় পা রাখা থাইল্যান্ডে একটি বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত কারণ সেখানকার মুদ্রা রাজার ছবি বহন করে এবং তাতে পা রাখা তার মর্যাদাকে আঘাত করা। এছাড়াও, থাই লোকেরা পাকে শরীরের সবচেয়ে নোংরা অঙ্গ বলে মনে করে। এই নিয়ম লঙ্ঘনকারীর 15 বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

– মিতালি জৈন