#VIralVideo: বাঘে হরিণে কি এক ঘাটে জল খায়! খায় না। তবে অনেক সময়ই বাঘ হরিণের দিকে ফিরেও তাকায় না, যেন দেখেও দেখে না। এমনই ছবি ধরা পড়েছে জঙ্গলে। আর তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
হরিণ বোধহয় বাঘের সবচেয়ে পছন্দের শিকার। অতীতে, হরিণের পিছনে ছুটন্ত বাঘ বা বাঘের হরিণ শিকারের অনেক ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এ বার একেবারে ভিন্ন দৃশ্য। একটি বাঘ তার শিকারকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে এমন ভাবা প্রায় অকল্পনীয়। তবু তেমনই এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি বাঘ দুটি হরিণের পাশ দিয়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে। হরিণ দু’টিও ছুটে পালাচ্ছে না। এমন দৃশ্য দেখে কার্যত স্তম্ভিত মানুষ।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাঘ দুলকি চালে বনের পথ ধরে এগিয়ে আসছে। তার পিছনে দু’টি হরিণ। তারাও রাস্তা পার হতে চায়। একবার হরিণ দু’টি সন্দিগ্ধ চোখে তাকায়। তারপর দ্রুত পায়ে উল্টো দিয়ে হাঁটা লাগায়। ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজটি তরাইয়ের বলে জানা গিয়েছে।
Tigers are truly economical in killing their preys. They don’t kill just for the sake of killing. #TeraiTales #wildlife pic.twitter.com/BTDFNDJJLB
— Ramesh Pandey (@rameshpandeyifs) September 28, 2022
ভিডিওটি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন বন দফতরের আধিকারিক রমেশ পাণ্ডে। তাঁর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘বাঘেরা শিকার ধরার ক্ষেত্রে সত্যিই মিতব্যয়ী। তারা শুধু হত্যার জন্য হত্যা করে না।’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নেটিজেনরা এটির প্রতিক্রিয়া জানাতে মন্তব্য বিভাগে ভিড় করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি যতদূর বুঝি অন্য প্রাণীরাও ক্ষুধার্ত না হলে হত্যা করে না।’ অন্য এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মানুষের মতো নয়, পেট ভরে গেলেই পশুরা সন্তুষ্ট হয়।’ তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘বাঘের পেটে যতক্ষণ ক্ষুধা নেই ততক্ষণই হরিণের প্রতি করুণা.. ক্ষুধার্ত হলে করুণা নেই।’
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সিংহের ক্ষেত্রেও একই রকম, কিন্তু চিতাবাঘ ক্ষুধার্ত না হলেও মেরে ফেলে।’
ভাইরাল ভিডিওটি বেশ বিরল একটি দৃশ্যে দেখায়। আবার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দেয়। নেটিজেনরাই সেই দিকটি তুলে ধরেছেন, বন্য প্রাণীরা কখনই মেজাজ-মর্জি অনুযায়ী এমনি এমনি কাউকে হত্যা করে না। একমাত্র মানুষের কাছেই অন্য মানুষের মৃত্যু অনেক সময়ই বিনোদনের। ভাইরাল ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার মানুষ দেখেছেন এবং প্রায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ লাইক করেছেন।