এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় সেচ লাইসেন্স আবেদনকারী কৃষকদের লাইসেন্স পেতে ধাপে ধাপে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মোটা অংকের টাকা দিয়েও লাইসেন্স পাচ্ছেন না অনেকে। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেচ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে উপজেলার উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র রবিউল ইসলাম।
একটি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তা সুমন। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্তররঞ্জন রায়ের আস্থাভাজন হওয়ায় সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
রবিউল ইসলাম বলেন, কিশামত হলদিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান আযমের মাধ্যমে সুমন মিয়া ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে সুমন ও আযম আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ওই টাকা দিতে না পারায় আমার পার্শ্ববর্তী গ্রামের লালগুড়ার পুত্র নগদিশের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার পরিবর্তে তাকে লাইসেন্স দিচ্ছে বলে আযম জানিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার খামার ধুবনী গ্রামের সাজু মিয়া, কঞ্চিবাড়ী গ্রামের মানিক, ভেলারায় গ্রামের আলম, চেংমারী গ্রামের সাজুসহ ৪০/৪৫ জন দালাল সক্রিয় রয়েছে।
সেচ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্তররঞ্জন রায় বলেন, অভিযোগটি পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগকারী রিসিভ কপিটি নিয়ে অফিসে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অফিস থেকে কিভাবে অভিযোগের কপি হারিয়ে যায় প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল