জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে লাগাতার হেনস্তা? মোটা, তোতলা বলে উত্যক্ত করত সহপাঠীরাই? স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের লোকেরা অভিযোগ জানানোর পর নাবালককে নৃশংসভাবে খুন করল অভিযু্ক্তেরা! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম বাবা। গ্রেফতার ৭। ঘটনাস্থল, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির আদর্শনগর।
পুলিস সূত্রের খবর, মৃতের নাম দীপাংশু। দিল্লির একটি সান্ধ্য স্কুলের পড়ত সে। শারীরিক গঠন কিছুটা স্থূলকায়, এমনকী কথা বলার সময়ে তোতলামির সমস্যাও ছিল ওই পড়ুয়ার। তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলে ছেলেকে রীতিমতো উত্যক্ত করত সহপাঠীরা। স্রেফ তোতলামি নয়, শারীরিক গড়ন নিয়ে চলত ঠাট্টা-ইয়ার্কি। বারবার বারণ করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর বুধবার স্কুলে ধস্তাধস্তির পর ছেঁড়া জামা গায়ে জখম অবস্থায় বাড়ি ফেরে দীপাংশু, তখন ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে বাড়ির লোকেদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন দীপাংশুর বাবা সৎপাল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলেকে আনতে স্কুলে যান সৎপাল। সঙ্গে দীপাংশুর দাদা হিমাংশুও। অভিযোগ, স্কুল থেকে ফেরার পর ফের দীপাংশুকে উত্যক্ত করতে শুরু করে তার সহপাঠীরা। বাবা-দাদার সামনে এবার রুখে দাঁড়ায় ওই পড়ুয়া। এরপর তার উপর চুরি নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্তরা! এলোপাথারি কোপ মারতে শুরু করে তারা। ছেলে বাঁচাতে গেলে ছুরি মারা বাবা সৎপালের পিঠেও। দু’জনকেউ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দীপাংশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার বাবার চিকিৎসা চলছে।
কেন এই হামলা? মৃতের দাদা হিমাংশুর দাবি, ‘স্কুলে ভাইকে লাগাতার উত্য়ক্ত করা হত। বারণ করেও লাভ হয়নি। বাবা স্কুলে অভিযোগ জানিয়েছিল। বদলা নিতেই ভাইকে মেরে ফেলল’! ঘটনার পর থানার অভিযোগ জানানো হয়। ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে ২ জন মৃতের সহপাঠী।
(Source: zeenews.com)