CAASTA সত্ত্বেও, উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, জাপানের উপর দিয়ে গেছে

CAASTA সত্ত্বেও, উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, জাপানের উপর দিয়ে গেছে

উত্তর কোরিয়া একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা জাপানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া এই অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের লক্ষ্য করে অস্ত্রের পরীক্ষা জোরদার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিউল। আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার উপর CASTA (Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আরোপ করেছে। CAATSA হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আইন যা ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।অর্থাৎ বিশ্বের কোনো দেশই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক করতে পারবে না। কাস্তার তালিকায় রয়েছে তিনটি দেশ ইরান, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া। এত নিষেধাজ্ঞার পরও উত্তর কোরিয়া কোনো শিক্ষা নিচ্ছে না এবং চালিয়ে যাচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। জনগণকে ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত রেখে কিং জং-উনের স্বৈরাচারের অধীনে দেশে যখন অনাহার-সদৃশ পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন স্বৈরশাসক ক্রমাগত দেশের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। মিসাইল পরীক্ষা করছে।

উত্তর কোরিয়া একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা জাপানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া এই অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের লক্ষ্য করে অস্ত্রের পরীক্ষা জোরদার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাপানি কর্তৃপক্ষ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছের ভবনগুলো সরিয়ে নিতে ‘জে-অ্যালার্ট’ জারি করেছে। 2017 সালের পর এই প্রথম এই ধরনের ‘সতর্কতা’ জারি করা হলো।

জাপানের হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন পরিষেবা, যা কিছু সময়ের জন্য স্থগিত ছিল, এখন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন “উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পরীক্ষার তীব্র নিন্দা…” যোগ করে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাথে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। জাপানের মন্ত্রিসভার মুখ্য সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, 22 মিনিট বাতাসে থাকার পর ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে সাগরে অবতরণ করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন যে তারা উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ অঞ্চল থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে যা 4,000 কিলোমিটার (2,485 মাইল) পাল্লা দিতে পারে।

অর্থাৎ এই ক্ষেপণাস্ত্র গুয়ামে পৌঁছতে সক্ষম হবে। ইউন বলেছেন যে তিনি উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া পারমাণবিক উস্কানি’র বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। গত ১০ দিনে উত্তর কোরিয়ার এটি পঞ্চম পরীক্ষা। এটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সামরিক মহড়া এবং গত সপ্তাহে জাপানের সাথে যুক্ত মিত্রদের অন্যান্য প্রশিক্ষণের প্রতিশোধ বলে মনে হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া এ ধরনের মহড়াকে যুদ্ধের মহড়া বলে অভিহিত করেছে।