#কলকাতা: উৎসবের মরশুমে ফ্লিপকার্ট বা অ্যামাজন থেকে শুরু করে সমস্ত অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মে দেদার আকর্ষণীয় অফার এবং ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। অফারের কারণে এক দিকে যেমন গ্রাহকরা সস্তায় ভাল জিনিস পাচ্ছেন। আবার অনেকেই অর্ডারের পার্সেলে ভুল জিনিস পেয়েছেন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলায়। এক জন মহিলা বিগ বিলিয়ন ডে সেলে একটি হাত-ঘড়ি অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু ডেলিভারি হওয়ার পরে পার্সেল খুলে দেখেন ঘড়ির জায়গায় জুটেছে ঘুঁটে।
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নীলম যাদব নামে ওই মহিলা গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১,৩০৪ টাকা দিয়ে একটি ঘড়ি অর্ডার করেছিলেন। আর ঘড়ির পেমেন্টের জন্য ক্যাশ অন ডেলিভারি মোড বেছে নিয়েছিলেন তিনি। দিন কয়েক পর ৭ অক্টোবর দুপুরে নীলমের অর্ডার ডেলিভারি করা হয়। এর পর নীলমের ভাই রবীন্দ্র বাড়ি ফিরে পার্সেলটি খুললে দেখা যায় যে, বাক্সের ভিতরে ঘড়ির বদলে রয়েছে চারটি ঘুঁটে।
ডেলিভারি বয়কে ডেকে অভিযোগ:
এমন পরিস্থিতি দেখে নীলম সঙ্গে সঙ্গে ডেলিভারি বয়কে ফোন করে অভিযোগ জানান। আর এ-হেন অভিযোগ পেয়ে ডেলিভারি এগজিকিউটিভও নীলমকে সেই ঘড়ির টাকা রিফান্ড করে দেন এবং ঘুঁটের বাক্সটি ফিরিয়ে নেন।
ল্যাপটপের জায়গায় বই:
শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, বহু জায়গাতেই ঘটছে এমন ঘটনা। ছত্তীসগড়েও এমনই একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছে। সেখানকার কোরবা জেলার এক জন ব্যক্তি ফ্লিপকার্ট থেকে ডিসকাউন্টে একটি ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন। ডেলিভারির পরে পার্সেল খুলে দেখা যায় যে, ভিতরে ল্যাপটপের পরিবর্তে বই রাখা রয়েছে। যাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই গ্রাহকের নাম হল বিনয় সোনি। এই ঘটনার পর তিনি রজগামার চৌকি এবং ফ্লিপকার্ট কোম্পানির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাক্স খুলে দেখা যায় কাপড় কাচার সাবান:
সাম্প্রতিক কালে এমনই আর একটি ঘটনা ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়েছে। এক জন ব্যক্তি ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন এবং তার পরিবর্তে তিনি পেয়েছিলেন কাপড় কাচার সাবান। সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কডইন পোস্টের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি এই ঘটনার কথা প্রকাশ করেন। আইআইএম আহমেদাবাদের ছাত্র যশস্বী শর্মা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, তিনি বিগ বিলিয়ন ডে সেলের সময় ফ্লিপকার্ট থেকে একটি ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, তাতে ল্যাপটপ তো নেইই, বরং রয়েছে ডিটারজেন্টের একটি প্যাকেট।
ভুল জিনিস ডেলভারি করা হলে কী করা উচিত?
যাঁরা অনলাইনে শপিং করেন, তাঁদের সঙ্গে আকছার এই ঘটনা ঘটেই থাকে। এই কারণে সব সময় ডেলিভারি বয়ের সামনেই পার্সেল খোলা উচিত এবং পার্সেল খোলার সময় তার ওপেনিং ভিডিও রেকর্ড করে রাখা উচিত। এর পর ভুল জিনিস এলে সঠিক প্রমাণ দিয়ে তা অ্যাপের মাধ্যমেই রিটার্ন পাওয়া যাবে। এমনকী এই মর্মে থানায় গিয়েও অভিযোগ জানিয়ে মামলা করা যাবে।