Kerala: পেটের মধ্যেই রয়ে গেল চিমটে, ডাক্তারের ভুলে ৫ বছর ধরে যন্ত্রণায় কাবু মহিলা

Kerala: পেটের মধ্যেই রয়ে গেল চিমটে, ডাক্তারের ভুলে ৫ বছর ধরে যন্ত্রণায় কাবু মহিলা

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অপারেশনের পর পাঁচ বছর ধরেই মাঝে মধ্যেই অসহ্য পেটে ব্যথা। বেদনানাশক ওষুধে সাময়িক কমলেও ফের যন্ত্রণা। সমস্যা দীর্ঘমেয়াদির পথে হাঁটতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন বছর তিরিশের হারশিনা। এরপর রিপোর্ট আসতেই চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তার এবং রোগী দুজনেই! পেটের মধ্যে রয়েছে একটি আস্ত Forcep! অপারেশনের সময় এই ধরণের সাঁড়াশি বা চিমটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেহের রক্তনালিকাগুলিকে অপারেশনের সময় এই ফরসেপ দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার কাজ করা হয়। সেটিই পেটেই রয়ে গিয়েছে ওই মহিলার। যার জেরে পেটে তৈরি হয়েছে ক্ষতও।

জানা যায়, ২০১৭ তে একটি অপারেশন হয় হারশিনার। মনে করা হচ্ছে সেই সময়ই পেটের মধ্যে ওই ফরসেপটি থেকে যায়। এরপর পেটে সেলাই করে রোগীকে বেডে দিয়ে দেন চিকিৎসক। বেসরকারি হাসপাতালেই ওই অপারেশন করিয়েছিলেন মহিলা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, তৃতীয়বারের জন্য পেটে অপারেশন হয় তাঁর। এরপর থেকেই অসম্ভব ব্যথা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে  তিনি ভেবেছিলেন এটি হয়ত অপারেশনের ব্যথা। কিন্তু দিনে দিনে তা আরও বাড়তে শুরু করলে চিন্তায় পড়েন তিনি। কেন এই ব্যথা হচ্ছে কোনও চিকিৎসকই ধরতে পারেননি।

মহিলা বলেন, “আমার পেটের তলদেশে অসহনীয় ব্যথা হত। পরে বুঝেছি ওই চিমটেটি আমার ইউরিনারি ব্লাডারের ধাক্কা দিত। এর ফলে সেখানে ক্ষতও তৈরি হয়েছে।” যদিও এরপর আর দেরি করেননি তিনি। সোজা ছুটে যায় সরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা ফের অপারেশন করে সেই চিমটেটি পেট থেকে বের করেন। তবে এবার ওই আগের অপারেশন করা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হারশিনা।

এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেরল সরকারও। সংবাদসংস্থা পিটিআই-এ প্রকাশিত প্রতিবেদ৷ অনুযায়ী, কেরলের স্বাস্থ্য বীণা জর্জ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন। স্বাস্থ্য সচিবকে গোটা ঘটনাটি নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটি রিপোর্টও জমা দিতে বলেছেন। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।

(Feed Source: zeenews.com)