কলকাতা: প্রেম কি আর জাত-কুল মানে! কোনও দিনই মানেনি। আর তা যদি হয় ফুচকার প্রেম, তবে তো কথাই নেই! ফুচকা প্রেমে পাগলিনী আট থেকে আশি। শুধু তাই নয়, সমস্ত স্বাদ কেন মানুষ একা উপভোগ করবে, হয়তো এমন প্রশ্নও তুলতে পারে পৃথিবীবাসী না-মানুষের দল। অন্তত ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে এমন মনে হতেই পারে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অসমের একটি ভিডিও ফুটেজ। ব্যস্ত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রেতা। বিকেল বেলা তার ক্রেতার সংখ্যা কম নয়। তবে ভিডিওয়ে ধরা দিয়েছেন এক বিশেষ গ্রাহক। বড়ই শান্ত স্বভাবের সেই গ্রাহক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন বিক্রেতার হাত থেকে ফুচকা নেওয়ার জন্য। ‘ফুচকাওয়ালা’ বাঁ হাতে ফুচকা ভেঙে আলুর পুর, টকজল ভরে এগিয়ে দিচ্ছেন আর সেই গ্রাহক একবার ডান দিকে, একবার বাঁ দিকে শুঁড় বাড়িয়ে গ্রহণ করছেন সেই টইটুম্বুর খাবার। তারপর সোজা মুখের ভিতর পুরে দিয়ে আবার পরেরটার অপেক্ষা। ঠিক যেন কোনও রসিকা মানবী।
অসমের তেজপুরের ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে এ ভাবে হাতিকে ফুচকা খেতে দেখে অবাক গোটা বিশ্ব। বুঝি বা হাতির ফুচকা প্রেম দেখে নতুন করে প্রেমে পড়েছেন অনেকে, ফুচকার।
Jackfruit is to Elephants what Mangoes are to humans.. and the applause by humans at the successful effort of this determined elephant to get to Jackfruits is absolutely heartwarming 😝
video- shared pic.twitter.com/Gx83TST8kV
— Supriya Sahu IAS (@supriyasahuias) August 1, 2022
সারা ভারতে ফুচকার জনপ্রিয়তা অপার। এক এক রাজ্যে এক এক রকম নাম। বাঙালির কলকাতা ফুচকার প্রেমে পাগল। অন্যত্র কেউ পানিপুরি খান। কেউ আবার গোলগাপ্পাকে ভালোবেসে কাটিয়ে দেন কত বিকেল!
কিন্তু গজনন্দিনীরও যে এই চটপটা স্ট্রিটফুড এমন পছন্দ তা বোধহয় আগে জানা যায়নি। অপ্রতিরোধ্য ফুচকার টানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাতিটিকে। তবে ভিডিও ফুটেজ থেকে বোঝা গিয়েছে এটি বুনো হাতি নয়। হাতির পিঠে মাহুতকেও দেখা গিয়েছে। পাশে একজন নিরপত্তারক্ষীকেও দেখা যায় ভিডিও ক্লিপটিতে।
সুতরাং খাওয়াদাওয়ার পর বিশেষ ক্রেতা যে ফুচকাওয়ালার পাওনা মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তা অন্তত আন্দাজ করাই যায়। কিন্তু ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির শেষ পর্যন্ত দেখেও বোঝা যায়নি, গজনন্দিনী কতগুলি ফুচকা খেয়ে তৃপ্ত হলেন!
হাতির খাওয়াদাওয়া নিয়ে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে সে হাতিটি বুনোহাতি। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একটি বুনো হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। একটি কাঁঠাল গাছের সামনে দাঁড়িয়ে বার বার শুঁড় তুলছে। কিন্তু কাঁঠাল ঝুলছে বেশ উঁচুতে। ফলে হাতিটি সামনের পা দু’টি তুলে দেয় গাছের গুঁড়িতে। টানটান হয়ে দাঁড়িয়ে, শুঁড় বাড়িয়ে পেড়ে ফেলে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল। একেবারে সোজা মুখে পুরে তবে শান্তি। আর হাতির এই সাফল্যে বেশ খুশি মানুষ। যাঁরা গোটা ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন দূর থেকে, তাঁরা হাতির সাফল্যে দেদার হাততালি দিয়েছেন, তাও ধরা পড়েছে ভিডিও-র শব্দে।
বন দফতরের আধিকারিক সুপ্রিয়া সাহু এই ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করেছেন৷ ক্যাপশনে সুপ্রিয়া লিখেছেন, ‘…কাঁঠাল পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হাতির সফল প্রচেষ্টায় মানুষের হাততালি একেবারে হৃদয়গ্রাহী।’