শীঘ্রই আসবে বিশ্বখেতাবও, এশিয়া কাপ জিতেই ভবিষ্যদ্বাণী দীপ্তি শর্মার

শীঘ্রই আসবে বিশ্বখেতাবও, এশিয়া কাপ জিতেই ভবিষ্যদ্বাণী দীপ্তি শর্মার

সিলেট: এশিয়া কাপে (Women’s Asia Cup) শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Women’s Cricket Team)। আজ পর্যন্ত মহিলাদের জন্য আয়োজিত আটটি এশিয়া কাপের একটি (ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরেছিল ভারত) বাদে বাকি সবকয়টিতেই জয় পেয়েছে ভারত। তবে মহাদেশীয় স্তরে এমন দাপট সত্ত্বেও ভারতীয় মহিলা দলের বিশ্বস্তরে খেতাব এখনও অধরা। কিন্তু শীঘ্রই সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে বলে মনে করছেন তারকা অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)।

আসবে বিশ্বখেতাব

এশিয়া কাপের টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হওয়ার পরেই দীপ্তি বলেন, ‘আমরা যদি ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে এমনভাবেই উন্নতি করতে থাকি, তাহলে  শীঘ্রই বিশ্বকাপ খেতাবটাও আসবে। এরপর আমরা যখনই যেই ফাইনালেই খেলি না কেন, আজকের মতো এমন মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামব। এশিয়া কাপ জয়টা নিঃসন্দেহে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এই আত্মবিশ্বাসটা পরের সিরিজগুলিতেও কাজে লাগবে। আমরা সবসময়ই এই টুর্নামেন্ট খেতাব জেতার থেকেও বেশি ভাল ক্রিকেট খেলতে আগ্রহী ছিলাম এবং সেটা সফলভাবে করতেও পেরেছি।’

ভারতীয় মহিলা দল ২০০৫ ও ২০১৭ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছলেও, দুইবারই পরাজিত হয়। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেও হতাশই হতে হয়েছিল ‘ওমেন ইন ব্লু’কে। তবে সেই হতাশা পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দীপ্তিরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় আর মাত্র চার মাস পরেই আয়োজিত হতে চলেছে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপই হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের পাখির চোখ।

কী বলছেন হরমনপ্রীত?

এশিয়া কাপ খেতাব জিতে হরমনপ্রীতও উচ্ছ্বসিত। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ”আমাদের নিঃসন্দেহে বোলারদের প্রশংসা করতেই হবে। ওঁরা প্রথম থেকেই আঁটোসাটো বোলিং করেছে। আমাদের আলোচনা হয়েছিল যে কোনওভাবেই লুজ বল দেওয়া যাবে না। আর বাজে রান যাতে খরচ না হয়। সেই মতোই প্ল্যান করেছিলাম। উইকেটের চরিত্র বুঝে ফিল্ডিংও সাজাতে হয়েছিল। ফিল্ডাররাও তাঁদের ১০০ শতাংশ দিয়েছে প্রথম বল থেকেই। সবাই সজাগ ছিল।”

ম্যাচের সেরা রেণুকা সিংহ ঠাকুর ফাইনালে ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। শুরুতেই লঙ্কা শিবিরে যে ধাক্কা তিনি দিয়েছিলেন, তা সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি চামারিরা। রেণুকা বলেন, ”ফাইনাল এত ভাল পারফর্ম করতে পেরে ভীষণ খুশি। শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমি একদমই ভাল বল করতে পারছিলাম না। কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরা আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে এই সময়টা। দলের প্রত্যেকে আমার পাশে ছিল।

(Feed Source: abplive.com)