#ব্রিসবেন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাবনা নিয়ে কপিল দেবের সঙ্গে একমত নন সুনীল গাভাসকার। যেখানে টিম ইন্ডিয়ার শেষ চারে ওঠা নিয়ে নিশ্চিত নন কপিল, সেখানে ঠিক উল্টো পথে হাঁটলেন সানি। ভারতকে শুধু শেষ চারে নয়, ফাইনালে দেখছেন তিনি। ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে আসন্ন বিশ্বকাপে রোহিত-ব্রিগেডকে নিয়ে আশাবাদী সুনীল মনোহর গাভাসকর।
দুই ফাইনালিস্ট টিম হিসেবে তাঁর বাজি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এক ক্রীড়া সম্প্রচার চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ‘লিটল মাস্টার’ বলেন, কোনও সন্দেহ নেই, ভারত ফাইনাল খেলবে। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও। আমি এখানে রয়েছি বলে বুঝতে পারছি মার্শ-হ্যাজেলউডরা ফাইনাল ওঠার ব্যাপারে কতটা ফেভারিট।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এতে রোহিতরা মানসিকভাবে এগিয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামবে। তবে যশপ্রীত বুমরাহের না থাকাটা বড় ক্ষতি। ও দীর্ঘদিন ধরে দলের প্রধান বোলার। বুমরাহর উপস্থিতি ভারতীয় বোলিং লাইন-আপের ভারসাম্য অবশ্যই বাড়াত।
তবে শামি-অর্শদীপরা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারলে ভারত ফায়দা তুলতে পারে। শুরুটা ভালে হলে রোহিত-ব্রিগেড যে কোনও প্রতিপক্ষের ঘাড়ে রানের পাহাড় চাপিয়ে দিতে সক্ষম। রান তাড়া করার ব্যাপারেও ওপেনারদের বড় দায়িত্ব রয়েছে।
#SunilGavaskar #IndianCricketTeam #T20worldcup22
“If the Indian team does not win this T20 World Cup it won’t be for lack of preparation”https://t.co/pMI2FgiJ8w— News18 CricketNext (@cricketnext) October 20, 2022
রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্ত হিসেবে অক্ষর প্যাটেলই প্রথম পছন্দ গাভাসকরের। তাঁর কথায়, জাড্ডুর অনুপস্থিতি কাজে লাগানো উচিত অক্ষরের। ও কম রান দেওয়ার পাশাপাশি উইকেট সংগ্রহেও দক্ষ। ইদানীং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য বাড়িয়েছে। তবে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে জাদেজার সমমানের হতে অক্ষরের আরও সময় লাগবে।
গাভাসকরের ধারণা, শেষ চারে উঠবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারত। আর শেষ পর্যন্ত খেতাবি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার কে এল রাহুল এবং সূর্য কুমারের অসাধারণ ব্যাটিং। ভুবনেশ্বর ক’দিন আগেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর থেকে পারফরমেন্সে উন্নতি হয়েছে তার।
সব মিলিয়ে ভারতীয় দল একটা কমপ্লিট প্যাকেজ মনে করেন সানি। এমন দল ফাইনালে উঠতে না পারলে সেটা দুর্ভাগ্যের হবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট রোহিত এবং বিরাটের অতীতের টানাটানি ভুলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।