কলকাতা: মস্তিষ্ক বিভিন্ন বিষয়কে বিভিন্ন ভাবে দেখতে পারে। যে কোনও দৃশ্য বা ছবি বা কোনও বস্তুকে কোনও ব্যক্তি কোন দিক থেকে দেখছেন তার উপর নির্ভর করে তিনি কী দেখছেন! বিষয়টি অত্যন্ত দার্শনিক বলে মনে হলেও এটাই বাস্তব। মানব মস্তিষ্ক বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন রকম উপলব্ধি করতে পারে। আর এই বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয় দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন। এ ধরনের ছবি মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষিপ্রতা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করাই যায়।
এমনই একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া অন্য ছবিগুলির তুলনায় এটি বেশ সহজ বলেই মনে করছেন নেট দুনিয়ার নাগরিকেরা। এই ছবিতে দেখা যায় একটি ছেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেলনার মধ্যে বসে রয়েছে। তার এক পায়ে জুতো। অন্য পায়ের জুতোটি খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ। সেটি লুকিয়ে রয়েছে ওই খেলনার মধ্যেই।
ভাইরাল এই অপটিকাল ইলিউশনের চ্যালেঞ্জ হল মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে অগোছালো ঘরের ভিতর থেকে একপাটি জুতো খুঁজে বের করা। একটু ভাল করে দেখলেই সেটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে হাতে সময় দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৯ সেকেন্ড।
ছবিতে দেখা যায় একটি ছেলে তার বিছানায় বসে রয়েছে। ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র খেলনা। তার এক পায়ে জুতো। কিন্তু অন্য পায়ে শুধুই মোজা। জুতোটি অগোছালো ঘরে হারিয়ে গিয়েছে সম্ভবত।
এই চ্যালেঞ্জে দাবি করা হয়েছে যে শুধুমাত্র শ্যেনদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষই এই অগোছালো ঘরের ভিতরে থেকে জুতোটি খুঁজে বের করতে পারবেন।
প্রাথমিক ভাবে জুতোটি খোঁজা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হলেও কাজটা খুব কঠিন নয়। এই দৃষ্টি বিভ্রম সৃষ্টিকারী ছবিটি একটু নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই হারানো জুতোটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব।তাতেও সম্ভব না হলে আমরা সাহায্য করতে পারি। প্রথমেই ছেলেটির ডান পায়ের জুতোটা দেখে নিতে হবে। তাতে ধারণা হবে অন্য পাটি জুতোটি ঠিক কেমন দেখতে। এরপর বাঁ দিকের জানালার কাছে ঘুড়ির দিকে তাকাতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে নীচের দিকে তাকালে দেখা যাবে রঙিন কাঠের দেরাজ এবং তারপর খেলনা ভর্তি ঝুড়ি। এই দেরাজ আর ঝুড়ির মাঝখানেই রয়েছে জুতোটি। যেমনটি ছবিতে দেখানো হয়েছে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যদি কেউ এই জুতোটি খুঁজে পান, তা হলে তিনি অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং স্মৃতিশক্তির অধিকারী বলে ধরে নেওয়া হবে। এ ধরনের ধাঁধা যত বেশি অনুশীলন করা যায় ততই মস্তিষ্কের উন্নতি হয় বলে ধরে নেওয়া হয়।