জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৪৫ দিনের মাথায় সরে যেতে হল বরিস জনসন-যুগের পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে। কে হবেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের পরবর্তী মালিক? অনেকগুলি নাম ভেসে উঠছে। সেই তালিকায় আছেন বিতর্কিত বরিস জনসন, আছেন লিজ ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকও। এ ছাড়াও আরও যে নামগুলি তালিকায় রয়েছে, পেনি মরডান্ট, বেন ওয়ালেস। বহু দিন ধরেই ব্রিটেন রাজনৈতিক ভাবে সংকটাপন্ন হয়ে রয়েছে। করোনা-পর্বে পার্টি করার অপরাধে বরিস জনসন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া আরও নানা বিতর্ক তাঁকে তাড়া করে। কর সংকট, অর্থনৈতিক সংকট–নানা কিছু ছায়া ফেলে ব্রিটেনের রাজনীতিতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে। একরকম এ সবেরই জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় বরিসকে। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার পরেও ব্রিটেনের সংকট কাটল না। নবনির্বাচিত লিজ ট্রাসের আমলের প্রথম লগ্ন থেকেই নানা সমস্যা। একে্র পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত দায় নিয়ে সরে গেলেন লিজ ট্রাস। ফলে আবার ব্রিটেনে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংকট।
তবে সেই অচলাবস্থা থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনারা প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি চর্চিত ঋষি সুনাক। তিনি প্রাক্তন চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার। তিনি লিজের কাছে শেষ মুহূর্তে হেরে গেলেও তাঁর হাতেই ব্রিটেনের শাসনভার অর্পিত হোক বলে চাইছে একটি বড় অংশ। প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব পেনি মরডান্টের নামও ঘোরাফেরা করছে। ভোটের ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ঋষি সুনাকের ঠিক পরের ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে ছিলেন। তাঁকে ঘিরেও তাঁর সমর্থকেরা উল্লসিত হয়ে রয়েছেন। আর আশ্চর্যজনক ভাবে এই দৌড়ে ফিরে ফিরে উঠছে বরিস জনসনেরও নাম। পার্টি গেট স্ক্যান্ডালের কথা লোকে মনে রেখেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা বরিসকে চাইছেন। এই আশায় যে, যদি বরিসের নেতৃত্বে একটা সুস্থ ও স্থায়ী সরকার পাওয়া যায়!
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-পর্বে তাঁর সুচিন্তিত নীতি নির্ধারণ দেশবাসীর খুবই মনে ধরেছে। ফলে, তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এ ছাড়াও আরও দুটি নাম শোনা যাচ্ছে, টম টুগেনধাফ্ট এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
(Feed Source: zeenews.com)