#নয়াদিল্লি: ডিজিটাল কারেন্সি ঠিক কী! এখনও আম জনতা এ বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। এর ব্যবহার কী ভাবে হয়, করলে কী লাভ— কিছুই প্রায় জানেন না ভারতের অধিকাংশ নাগরিক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) সম্পর্কে এক নোট জারি করেছে। এতে আরবিআই ব্যাখ্যা করেছে, এই মুদ্রার আসল উদ্দেশ্য কী এবং এর ব্যবহারে লাভ-লোকসানই বা কী হতে পারে।
এই মুদ্রা কী ভাবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, মুদ্রানীতি এবং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে, তা-ও এই অংশে আলোচনা করা হয়েছে। আরবিআই এটিকে যে কোনও প্রাইভেট ভার্চুয়াল কারেন্সির (বিটকয়েন) চেয়ে বেশি নিরাপদ বলে বর্ণনা করেছে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যখন প্রথম ডিজিটাল মুদ্রার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিটকয়েনের সঙ্গে এর তুলনা টানা হয়েছিল।
কিন্তু ডিজিটাল কারেন্সিকে কোনও প্রকার ক্রিপ্টো কারেন্সির সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। বরং বাজারে ইতিমধ্যেই চালু থাকা ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে তুলনা করা উচিত। আরবিআই-এর ‘ডিজিটাল রুপি’ কি বর্তমানে বাজারে চালু থাকা ডিজিটাল মুদ্রার চেয়ে ভাল, এটি কী ভাবে কাজ করবে এবং এর সুবিধা কী হবে— জেনে নেওয়া যাক।
CBDC কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সিবিডিসি-কে আইনি অর্থের আকারে ইস্যু করবে। এটি একটি ডিজিটাল রেকর্ড বা দেশের মুদ্রার টোকেন হবে, যা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিটকয়েনকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কম এবং বিনিয়োগ হিসেবে বেশি দেখা হয়। আরবিআই বলছে, ডিজিটাল রুপি পেমেন্ট সিস্টেমকে আরও দক্ষ করে তুলবে। সিবিডিসিতে একমাত্র ভারতই কাজ করছে না। এর পাইলট প্রকল্প অনেক দেশে শুরু হয়েছে।
সুবিধা কী?
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এটিকে নগদে রূপান্তর করতে পারবেন যে কোনও নাগরিক। এ ছাড়া ডিজিটাল লেনদেনের চার্জ কমানো যাবে। ডিজিটাল রুপি যে কোনও মুদ্রা জালিয়াতি এড়াতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। কারণ, এর প্রতিটি ইউনিট অনন্য হবে যেমনটি ফিয়াট মুদ্রা বা কাগজি নোটের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
এতে ডিজিটাল পেমেন্টের মতো যে কোনও পেমেন্ট করতে বা সঞ্চয় করার সুবিধা মিলবে। নগদ টাকার উপর মানুষের নির্ভরতা আরও কমে যাবে। আরবিআইয়ের দাবি, এটি আর্থিক এবং আর্থিক নীতিগুলি বাস্তবায়নে সহায়ক।
ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে পার্থক্য কী?
ডিজিটাল স্থানান্তরের জন্য কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতা প্রয়োজন। ডিজিটাল রুপি নির্বিঘ্নে সরাসরি প্রাপকের কাছে যাবে। সিবিডিসি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দায়িত্ব, কোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের নয়। নাগরিকের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না-থাকলেও ডিজিটাল লেনদেন করা সম্ভব।