গঙ্গা থেকে বেরিয়ে সোজা ঘরে ঢুকে পড়ল কুমির, চার ঘণ্টা চলল উদ্ধার অভিযান!

গঙ্গা থেকে বেরিয়ে সোজা ঘরে ঢুকে পড়ল কুমির, চার ঘণ্টা চলল উদ্ধার অভিযান!

মেরঠ: অনভিপ্রেত অতিথি বোধহয় একেই বলে। প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হতে চলেছে এমনটা। গাজিয়াবাদে কুমিরের ঘরে ঢুকে পড়ার অনেক ছবি ইতিমধ্যে অনেক দেখা গিয়েছে। এবার মেরঠেও একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে কুমির। মঙ্গলবার গভীর রাতে গঙ্গা নদী সংলগ্ন ফতেপুর প্রেমপুর গ্রামে এক বাড়িতে ঘটে এই কুমিরের আগমন। গ্রামের একটি বাড়িতে কুমির ঢুকে পড়ায় তাই আতঙ্কে কৃষক পরিবার। তাঁরা তড়িঘড়ি করে বন বিভাগে খবর দেন। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের কর্মীরা। এরপর প্রায় চার ঘণ্টা চলে উদ্ধার অভিযান।

বন বিভাগের উদ্ধার অভিযান চলার সময় কুমিরটি ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের একটা আখের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে। অনেক চেষ্টার পর কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হন বন বিভাগের কর্মীরা। পরে কুমিরটিকে তাঁরা গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেন। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, হস্তিনাপুর ফরেস্ট সেঞ্চুরি রেঞ্জে অনেক কুমির আছে এবং সেটা কুমিরদের বসবাসের স্থান। অনেক সময়েই সেখানকার কুমিররা পথ হারিয়ে খাল ও মাঠে ঢুকে পড়ে। আবার এও দেখা গিয়েছে যে মাঝে মাঝে সেই কুমির স্থানীয় গ্রামের কিছু জায়গায় পৌঁছে যায়। যদিও এমন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি হয়নি। এই কুমিরটিকেও আগের মতো আবার গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বন আধিকারিক সুভাষ সিং জানান, এক কৃষকের বাড়িতে কুমির ঢুকে পড়ার খবর ফোনে তাঁরা পেয়েছিলেন। এর পর তাৎক্ষণিক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। চার ঘণ্টা চেষ্টার পর কুমিরটিকে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়। এর পর কুমিরটিকে গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, হস্তিনাপুর অভয়ারণ্যে প্রচুর পরিমাণে কুমির রয়েছে, যেগুলো মাঝে মাঝে সেখান থেকে বেরিয়ে জনবহুল এলাকায় প্রবেশ করে।

(Feed Source: news18.com)