বাংলাদেশঃ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে অম্বিকাপুরে জাতীয় পতাকা তুলেছিলাম

বাংলাদেশঃ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে অম্বিকাপুরে জাতীয় পতাকা তুলেছিলাম

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বলতে পারি হাতিয়ার তুলে নিয়ে সেদিন আমরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে অম্বিকাপুরে জাতীয় পতাকা তুলেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) উপজেলা মাল্টিপারপাস হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে মতবিরোধের কারণে আমি আওয়ামী লীগ ছেড়েছি, আজ আমি বিএনপি করি। আমি যে দলেই থাকি না কেন আমি সকলকে নিয়ে একসাথে চলার চেষ্টা করি। আমি বিএনপি করলেও আপনারা (আওয়ামী লীগ) আজ আমাকে এখানে ডেকে যে সম্মান দেখিয়েছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘যাদের হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি আজ তাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করতে পেরে গর্ববোধ করছি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিলারা আকতার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসান্মাৎ রেখা পারভীন, থানা অফিসার ইন চার্জ (ইউএনও) আব্দুল ওহাব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুর রশীদ, সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শোয়েবুর রহমান সিকদার, সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন মোল্যা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ জলিল, অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত হোসেন লিটন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলার জীবিত ২৫৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়। মৃত্যুবরণকারী ২৬৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর তাদের ওয়ারিশগণের নিকট ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

সান নিউজ/কেএমএল