অন্তর্বাস না পরলেই শাস্তি, পোশাকবিধি নিয়ে আপোসে রাজি নয় পাক বিমান প্রশাসন

অন্তর্বাস না পরলেই শাস্তি, পোশাকবিধি নিয়ে আপোসে রাজি নয় পাক বিমান প্রশাসন

ইসলামাবাদ: ১৯৪৬ সালে শুরু, তার পর থেকে এই ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩০টি বিমান নিয়ে বেশ স্বচ্ছন্দ গতিতেই আকাশের বুক চিরছে পাকিস্তান বিমান পরিষেবা, যার পোশাকি নাম পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস। কে জানত, সম্প্রতি বিমান প্রশাসনের মাত্র একটা নিয়মবিধিতেই গোলযোগের সৃষ্টি হবে!

যে কোনও সংস্থাতেই প্রায় কর্মীদের পোশাকবিধি নিয়ে কিছু নিয়ম-কানুন থাকে। দেশে এবং বিদেশের সর্বত্র বিমান পরিষেবায় এই পোশাকবিধির আরোপ আরও স্পষ্ট- নির্দিষ্ট পোশাক বা ইউনিফর্মই যে এক সংস্থার চেয়ে আলাদা করে চিনিয়ে দেয় অন্য সংস্থার বিমানকর্মীদের। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস অবশ্য নতুন ইউনিফর্ম চালু করতে যায়নি। জোর দিয়েছে কেবল অন্তর্বাসের ব্যবহারের উপরে।

এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস-এর জেনারেল ম্যানেজার আমির বশিরের স্বাক্ষর করা এক অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা বা ইন্টারনাল ইনস্ট্রাকশন মেমো সোশ্যাল মিডিয়া মারফত প্রকাশ্য়ে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে তাঁদের বেশ কিছু কর্মী পোশাকবিধির তোয়াক্কা না করেই খুব সাধারণ ভাবে যত্র-তত্র ঘুরে বেড়ান, এই বিষয়টি ক্রমশ দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে কর্তৃপক্ষের। নিজের দেশের বা অন্য দেশের হোটেলে, নানা অফিসে তাঁরা এভাবেই কোনও কিছুর পরোয়া না করে যাতায়াত করে থাকেন। ফলত, শুধু তো আর সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি নন, প্রশ্ন উঠছে সংস্থা তথা দেশের নৈতিকতা এবং ভাবমূর্তি নিয়েও।

সেই ভাবমূর্তির পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর হয়েই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস ফতোয়া জারি করেছে যে বিমানকর্মীদের যথোপযুক্ত পোশাকের নীচে অন্তর্বাস পরা এবার থেকে বাধ্যতামূলক। কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তদারকি চালাবে, নিয়মভঙ্গ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তবে সেই তদারকি কীভাবে চলবে, কোনও বিমানকর্মীর অতীত কোনও আচরণ বা কোনও যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার এই নিয়ম জারি করা হল কি না, সেই সব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও কৈফিয়ত দেয়নি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস।