৬৮০০ কোটি টাকা, ৭ লাখ চাকরি! ভারতের GDP-তে YouTube ক্রিয়েটরদের অবদান

৬৮০০ কোটি টাকা, ৭ লাখ চাকরি! ভারতের GDP-তে YouTube ক্রিয়েটরদের অবদান

#নয়াদিল্লি: বর্তমানে YouTube খুবই একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখার জন্য সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয় YouTube। কিন্তু বর্তমানে YouTube ভিডিও দেখা ছাড়াও, আয় করার একটি সেরা মাধ্যম হিসাবে পরিণত হয়েছে।। YouTube-এ নিজেদের চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ক্রিয়েটর প্রতি মাসে মোটা টাকা উপার্জন করে চলেছেন। সম্প্রতি YouTube-এর একজন একজিকিউটিভ তুলে ধরেছেন সেই সংক্রান্ত একটি তথ্য।

YouTube-এ ভারতীয় ক্রিয়েটরদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৭ লাখ চাকরির সৃষ্টি হয়েছে, ভারতে যে বাজারের পরিমাণ ৬৮০০ কোটি টাকা। YouTube-এ ভারতের ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে বার্ষিক মোটা টাকা উপার্জন করছেন, যার পরিমাণ ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৮০০ কোটি টাকা।

YouTube-এর চিফ প্রোডাক্ট অফিসার এবং Google-এর এসভিপি নীল মোহন সম্প্রতি ভার্চুয়ালি যোগদান করেছিলেন CyFy 2022 কনফারেন্সে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ক্রিয়েটরদের অর্থনৈতিক বাজার ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ইতিমধ্যেই এর পরিমাণ ৬৮০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে, যা সৃষ্টি করেছে প্রায় ৭ লাখ চাকরি। এই ভার্চুয়াল কনফারেন্স অর্গানাইজ করেছিল Observer Research Foundation। তিনি জানিয়েছেন যে, YouTube-এর মাধ্যমে ক্রিয়েটররা এখন নিজেদের ফলোয়ার্স বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, আর্থিক ক্ষেত্রটিকেও মজবুত করে চলেছে।

YouTube-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটর তাঁদের ব্যবসাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পারছেন। এর ফলে তাঁরা খুব কম সময়ে পৌঁছে যাচ্ছেন অনেকের কাছে, যা তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, YouTube-এ ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে খুব কম সময়ে সকলের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। কারণ এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে; এটি ক্রিয়েটরদের কাছে একটি খুবই সুরক্ষিত এবং নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে, YouTube-এ সকলের স্বাধীনতা রয়েছে নিজেদের বক্তব্যকে তুলে ধরার জন্য। কিন্তু YouTube-এর কয়েকটি নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এর ফলে YouTube-এর মাধ্যমে কোনও ধরনের হিংসা, অসৎ তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। YouTube-এর একটি নির্দিষ্ট গ্লোবাল কমিউনিটি গাইডলাইন রয়েছে, যা সকল ক্রিয়েটরদের মেনে চলতে হয়। এর ফলে কেউ YouTube প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদ্বেষ, হিংসা ছড়িয়ে দিতে পারেন না।

(Feed Source: news18.com)