পুলিশে একযোগে ২২ জনকে বদলি, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কী ঘটল?‌

পুলিশে একযোগে ২২ জনকে বদলি, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কী ঘটল?‌

সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ ট্র‌্যাক করার উপর বেশি জোর দিয়েছে। কারণ এখন স্মার্টফোনের যুগে অপরাধের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির চেয়ে এখন ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, সাইবার ক্রাইমের মতো ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে কলকাতা শহরে এই অপরাধের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা নানা জালিয়াতি করে বেড়াচ্ছে। তাই এবার কলকাতা পুলিশ বাহিনীকে একটু অতিসক্রিয় করার উদ্যোগ নিল লালবাজার।

ঠিক কী ঘটেছে লালবাজারে?‌ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের কিনারা করা কলকাতা পুলিশের কাছে কোনও বড় চ্যালেঞ্জ নয়। বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধগুলিকে। তাই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ২২ জন তদন্তকারী পুলিশকর্মীকে ওই সব অপরাধের তদন্তে কাজে লাগানোর জন্যে বদলি করা হল। ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল–সহ ওই ২২ জনকে উন্নত ধরনের অপরাধের তদন্তে কাজে লাগানো হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বেশ কয়েকদিন ধরেই লালবাজারের খোলনলচে পরিবর্তন করার কথা ভাবছিলেন। পুলিশ কমিশনারের সেই ভাবনাই এবার বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই ২২ জনকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন, জালিয়াতি দমন, সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা– সহ নানা দফতরে কাজে লাগানো হবে। কারণ এদের তদন্ত করার অভিজ্ঞতা আছে। সেটাকে এবার এই প্রযুক্তি নির্ভর তদন্তে কাজে লাগানো হবে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?‌ লালবাজার সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইদানিংকালে তদন্তের জন্য যেসব বিভাগে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেখানে সেটা করা হবে। কয়েকদিন আগেই পুলিশ কমিশনার উদ্যোগ নেন ‘হোয়াইট কলার’ ক্রাইম যেগুলি হচ্ছে সেগুলির শক্তি বাড়াতে হবে। ডিডিতে যেসব বিভাগে এখন কাজের চাপ কম, সেগুলি অন্য বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তাহলে কাজে গচি আসবে আর প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ কড়া হাতে দমন করা যাবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)