ভারতের অর্থনীতি কেন মধ্যবিত্তের উপর নির্ভর করে? আয়, ব্যয় ও সঞ্চয়ের হিসেব প্রকাশ

ভারতের অর্থনীতি কেন মধ্যবিত্তের উপর নির্ভর করে? আয়, ব্যয় ও সঞ্চয়ের হিসেব প্রকাশ

#কলকাতা:  দেশে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ২০০৪-২০০৫ সালে মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত ছিলেন। ২০২১-২২ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে। পিপল রিসার্চ অন ইন্ডিয়াস কনজিউমার ইকোনমি-র সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যায় মধ্যবিত্তের অংশ হবে ৬৭ শতাংশ।

সমীক্ষায় ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয় গোষ্ঠী এবং বঞ্চিত, এই চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের পরিবারগুলিকে ধনী শ্রেণীতে, ৫ লক্ষ টাকার উপরে এবং ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের পরিবারগুলিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে এবং ১.২৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়ের পরিবারগুলিকে নিম্ন আয়ের বিভাগে রাখা হয়েছে। ১.২৫ লক্ষ টাকার কম বার্ষিক আয়ের পরিবারগুলি রয়েছে বঞ্চিত শ্রেণিতে।

আয়, ব্যয় ও সঞ্চয়ের দিক থেকে কার শেয়ার সবচেয়ে বেশি: দেশে পরিবারের ৩ শতাংশ এবং জনসংখ্যার ৪ শতাংশ ধনী, যা মোট আয়ের ২৩ শতাংশ। দেশের জনগণের বার্ষিক ব্যয়ের ১৭ শতাংশ আসে এই শ্রেণী থেকে। একই সঙ্গে দেশের বিত্তবানদের মোট সঞ্চয়ের ৪৩ শতাংশ দেওয়া হয়। মধ্যবিত্তের কথা বললে, তারা জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। তাদের অংশ আয়ের ৫০ শতাংশ, ব্যয়ের ৪৮ শতাংশ এবং সঞ্চয় ৫৬ শতাংশ। নিম্ন আয়ের গোষ্ঠী জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ। তারা মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ। যেখানে তাদের আয় ২৫ শতাংশ, ব্যয় ৩২ শতাংশ এবং সঞ্চয় মাত্র ১ শতাংশ। বঞ্চিতরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ। আয়ে তাদের অংশ ২ শতাংশ, ব্যয়ে ৩ শতাংশ এবং সঞ্চয় শূন্য।

কোন রাজ্য সবচেয়ে ধনী

মহারাষ্ট্র দেশের সবচেয়ে ধনী রাজ্য। ৬.৪ লক্ষ পরিবার অতি ধনী। এঁদের বার্ষিক আয় ২০২১ সালে ২ কোটি টাকার বেশি ছিল। দিল্লি ১.৮১ লাখ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর পরে রয়েছে গুজরাত (১.৪১ লাখ), তামিলনাড়ু (১.৩৭ লাখ) এবং পঞ্জাব (১.০১ লাখ)। সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে সবচেয়ে ধনী পরিবারের সংখ্যা ১৯৯৪-৯৫ সালে ৯৮ হাজার ছিল, যা ২০২১-২২ সালে বেড়ে ১৮ লাখ হয়েছে।

(Feed Source: news18.com)