ট্যাক্স বাঁচাতে আপনিও কিনেছেন বিমা পলিসি? এই নিয়ম না জানলে মস্ত বড় বিপদ

ট্যাক্স বাঁচাতে আপনিও কিনেছেন বিমা পলিসি? এই নিয়ম না জানলে মস্ত বড় বিপদ

বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী পরিবারের সুরক্ষার পাশাপাশি কর সঞ্চয়ের জন্য জীবন বিমা পলিসি কেনেন। এতে অনেক ধরনের বিকল্প রয়েছে। কেউ বার্ষিক ভিত্তিতে জীবন বিমা পলিসির প্রিমিয়াম প্রদান করে। আবার কোনও বিনিয়োগকারী একক প্রিমিয়াম অর্থাৎ এক লপ্তে মোটা টাকা বিনিয়োগে বিশ্বাসী। একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পলিসি কিনতে চাইলে কর সম্পর্কিত কিছু নিয়ম জানা গুরুত্বপূর্ণ।

আয়কর আইনের ধারা ৮০সি ধারার অধীনে, একটি একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পলিসিতে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়ামে কর ছাড় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ২০১২-র ১ এপ্রিলের পরে জারি করা নির্দেশিকায় একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পলিসির মেয়াদপূর্তির (বোনাস সহ) প্রাপ্ত পরিমাণও করমুক্ত। যাই হোক, এর জন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম পলিসির নিশ্চিত পরিমাণের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

তার পর আয়কর কাটা হবে: কর সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনোজ জৈন বলেছেন, “যে কোনও ক্ষেত্রে যদি একটি একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পলিসির বার্ষিক প্রিমিয়াম ১০ শতাংশের বেশি হয়, তবে পলিসির মেয়াদপূর্তির পরিমাণের উপর কর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি আয়করের ধারা ১৯৪ডিএ-এর অধীনে সেই পলিসির মেয়াদপূর্তির পরিমাণের উপর ৫ শতাংশ হারে কর কাটতে পারবে।”

কারা কোনও ছাড় পাবে না: এই ধরনের করদাতারা, যাঁরা আয়করের নতুন ব্যবস্থা বেছে নেন তাঁরা আয়করের ধারা ৮০সি-এর অধীনে জীবন বিমা পলিসিতে কোনও কর ছাড় পাবেন না। নতুন ব্যবস্থায়, পলিসির মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত পরিমাণ আয়করের ধারা ১০(১০ডি)-এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে। যদি একজন ব্যক্তির বার্ষিক আয় শূন্য থাকে, তাহলে তাঁকে জীবন বিমা পলিসির প্রিমিয়ামে ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড় দেওয়া হবে, যদিও তিনি নতুন কর ব্যবস্থাই বেছে নিয়েছেন।

এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে যদি কেউ একটি একক প্রিমিয়াম বিমা পলিসির প্রিমিয়াম বিমাকৃত রাশির থেকে ১০ শতাংশ বেশি পরিশোধ করেন, তাহলে তিনি কর ছাড় পাবেন না। এর মানে হল, যদি বিনিয়োগকারীর ১৮ লক্ষ টাকার অ্যাসিউরড থাকে এবং বার্ষিক প্রিমিয়াম ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চলে যায়, তাহলে তাতে ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে না।

(Feed Source: news18.com)