সংরক্ষণ ইস্যুতে কেন্দ্রের জয়, সুপ্রিম রায়কে স্বাগত দিলীপ ঘোষের

সংরক্ষণ ইস্যুতে কেন্দ্রের জয়, সুপ্রিম রায়কে স্বাগত দিলীপ ঘোষের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- ‘‘সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশ, তাদেরকে মূল স্রোতে নিয়ে আসার লক্ষ্যেই সংরক্ষণ। মোদি সরকারের লক্ষ্যই, জাত দেখে নয়, কিংবা ধনী গরীব বিচার করে নয়, সমাজের সব স্তরের মানুষের স্বার্থে কাজ করা। সেই কারণেই সংরক্ষণ। সমাজের একটা শ্রেণী দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল এবং মূল স্রোতে তারা আসতে পারেননি। আদালতের রায় সেই সমস্ত মানুষদের স্বপ্ন পূরণ করবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই।’’ বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সংবিধান সংশোধনীকে বৈধ আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ৩:২ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে ১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীকে সোমবার বৈধ ঘোষণা করল। গত সেপ্টেম্বর মাসে শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷ শেষ পর্যন্ত রায় ঘোষণা করল ৷  ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই সংশোধন নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় এবং রাজস্থানে বিজেপি-র পরাজয়ের পরেই আর্থিক ভাবে অনগ্রসরদের সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিল সরকার ৷ মোদি সরকার এই সংশোধনী নিয়ে আসার পর পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়৷ শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় জয় ৷ বিশেষত, হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাত নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিজেপি-র প্রচারে বড় অস্ত্র হয়ে উঠবে, তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায় ৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এই রায় ঘোষণা করে ৷ প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে সবুজ সঙ্কেত পায় কেন্দ্রের সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত ৷ ফলে এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় আবেদন খারিজ হয়ে গেল ৷

(Feed Source: news18.com)