গোল্ড লোন প্রভাবিত করে ক্রেডিট স্কোর, কখন নেওয়া সবচেয়ে ভাল দেখে নিন!

গোল্ড লোন প্রভাবিত করে ক্রেডিট স্কোর, কখন নেওয়া সবচেয়ে ভাল দেখে নিন!

#কলকাতা: মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ সুরক্ষিত করে সোনা। তাই বিনিয়োগকারীদের কাছে হলুদ ধাতুর এত চাহিদা। দীর্ঘমেয়াদে সোনার দাম বাড়ে। ব্যাঙ্কে বা বাড়িতে রাখা সোনা সঠিক সময় বিক্রি করতে পারলে মোটা টাকা মেলে। তবে কেউ কেউ সোনার বিপরীতে ঋণ নেন। স্বর্ণ ঋণ পাওয়া সহজ। এটা ক্রেডিট স্কোর বাড়ানোর একটা উপায়ও বটে। কিন্তু সবসময় সেটা কাজে আসে না। তাহলে কোন সময় গোল্ড লোন নেওয়া সবচেয়ে ভাল?

কেউ যখন সোনার ঋণের জন্য আবেদন করেন, তখন ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আবেদন বিবেচনা করার সময় ক্রেডিট ব্যুরো থেকে তাঁর ক্রেডিট রিপোর্ট চায়। এটাকে ‘হার্ড ইনকোয়ারি’ বলা হয়। এই অনুসন্ধানটি আবেদনকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট বের করা হয়। এটি ছাড়া ঋণ মিলবে না। হার্ড ইনকোয়ারিতে, যদি জিজ্ঞাসাগুলি স্বাভাবিক হয় তবে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি অনেক প্রশ্ন এবং উত্তর থাকে তবে আবেদনকারীর জন্য সমস্যা রয়েছে। কারণ এ থেকে বোঝা যায়, হয় আবেদনকারীর আরও ঋণের প্রয়োজন অথবা তিনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঋণ নিচ্ছেন। এটা সরাসরি ক্রেডিট স্কোরকে প্রভাবিত করে।

ঋণ পরিশোধ না হলে কী হবে: গ্রাহক যদি ঋণ পরিশোধ না করেন, তাহলে তাঁর সিবিল স্কোর মারাত্মকভাবে কমে যাবে। ঋণদাতা ক্রেডিট ব্যুরোতে এই তথ্য দেবে। এছাড়াও, গ্রাহক যে সোনা জামানত হিসাবে জমা করেছেন তাও ঋণদাতা নিলাম করতে পারে।

ক্রেডিট স্কোর ভাল রাখার উপায়: গোল্ড লোন নিলে ক্রেডিট স্কোরে তার আঁচ এসে পড়ে। তবে এড়ানোও যায়। গ্রাহককে ঋণের ইএমআই সময় মতো পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করে দিলে ক্রেডিট স্কোর এমনিতেই বেড়ে যাবে। সময়ে লোন শোধ করলে ক্রেডিট স্কোর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রতিবার ঋণ পরিশোধের সময় ঋণদাতা ক্রেডিট ব্যুরোকে সেই সম্পর্কে অবহিত করে। তার ভাল-মন্দ ক্রেডিট স্কোরে প্রতিফলিত হয়।

গোল্ড লোন নেওয়ার সঠিক সময় কখন: ঋণ হিসেবে সোনার মূল্যের ৯০ শতাংশ পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধ না হলে সেই সোনা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। টাকার দরকার, কিন্তু বিপুল অঙ্কের নয় এবং খুব সহজেই তা পরিশোধ করা যাবে, এমন পরিস্থিতি থাকলে তবেই গোল্ড লোন নেওয়া উচিত। বাড়ি কেনার মতো বড় কাজের জন্য গোল্ড লোন নেওয়া উচিত নয়।

(Feed Source: news18.com)