সান নিউজ ডেস্ক : নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের ওপর আইনগত বিষয় তুলে ধরেছেন তার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকার বিশেষ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ মামলার শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। সাথে ছিলেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, জিয়াউদ্দিন জিয়া, আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এ কে এম মোশাররফ হোসেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত বছরের ১৬ মার্চ ইন্তেকাল করেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আসামিদের মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি ছয়জন বর্তমানে জামিনে আছেন। আরেক আসামি কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক।
সান নিউজ/এইচএন