চলতি বছরেই কর্মী নিয়োগে নেওয়া হবে সিইটি পরীক্ষা, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

চলতি বছরেই কর্মী নিয়োগে নেওয়া হবে সিইটি পরীক্ষা, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

#নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইউনিয়ন মিনিস্টার অফ স্টেট ফর পার্সোনেল (Union Minister of State for Personnel) প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে, খুব সম্ভবত চলতি বছরের শেষেই আবার কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট (Common Eligibility Test) নেওয়া হবে। এই কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সিইটি (CET) হল একটি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা যা বিভিন্ন নন-গেজেটেড পদের জন্য প্রার্থীদের বাছাই করে।

ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (National Recruitment Agency) চলতি বছরের শেষে কম্পিউটার-ভিত্তিক অনলাইন সিইটি-র আয়োজন করবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর বিবৃতি অনুসারে, পরীক্ষাটি মোট ১২টি ভাষায় পরিচালিত হবে এবং সংবিধানের ৮তম তফসিলে উল্লিখিত ২২টি ভাষাকে এই পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এনআরএ সিইটি ২০২২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি নন-টেকনিক্যাল সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি শহরে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষার সময়সূচী শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

সিলেবাস এবং পরীক্ষা পদ্ধতি:

সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্যাটার্ন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নির্বাচন করা হবে এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। সিইটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্বারা পরিচালিত পরবর্তী রাউন্ডের নির্বাচনের জন্য বাছাই করা হবে

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং একটি সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন যে, ‘নাগরিক, অন্ত্রেপ্রেনর এবং সরকারি কার্যক্রমকে আরও মিলিত ভাবে কাজ করানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তন উপলব্ধ করানো যায়।’ বিভিন্ন সংস্কারের বাস্তবায়ণের পরিকল্পনার জন্য তাঁরা নিয়ত কর্মরত। গেজেটেড অফিসারদের দ্বারা অ্যাটেস্টেট করানোর পরিবর্তে এখন থেকে সমস্ত ডকুমেন্টে সেলফ-অ্যাটেস্টেটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে, এতে দেশের যুবকদের প্রতি গভীর আস্থা প্রদর্শন করা হবে বলে তিনি মনে করেছেন।

পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জিতেন্দ্র সিং ওই সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে, এই বছরের শেষ নাগাদ, ডিওপিটির অধীনে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি কম্পিউটার-ভিত্তিক অনলাইন কমন এলিজিবিলিটি টেস্টের আয়োজন করছে। তিনি আরও জানান যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম লক্ষ্য হল দেশের সর্বোচ্চ শাসন ব্যবস্থায় আরও বেশি করে নাগরিকদের প্রভাবকে বৃদ্ধি করা। তিনি জানিয়েছেন, শাসনব্যবস্থার অন্যতম চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে, সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে মানুষটিকেও সমান অধিকার প্রদান এবং তার কাছে পৌঁছে তাকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতা প্রদান করা।

(Feed Source: news18.com)