চাকরি ছাড়লেন ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাথা অভিজিৎ বসু, ইস্তফা আরেক আধিকারিকেরও

চাকরি ছাড়লেন ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাথা অভিজিৎ বসু, ইস্তফা আরেক আধিকারিকেরও

একসঙ্গে দুই পতত্যাগ। কোম্পানি ছাড়লেন ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান অভিজিৎ বসু। একইসঙ্গে সংস্থা ছাড়লেন মেটার (ফেসবুক) পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আপাতত প্রাক্তন সাংবাদিক এবং হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির প্রধান শিবনাথ ঠুকরাল সেই দায়িত্ব নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, মাত্র ২ সপ্তাহ আগেই ফেসবুক ইন্ডিয়ার প্রধান অজিত মোহন পদত্যাগ করেছিলেন। অজিত মোহন এখন প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। Snap-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টে আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। আরও পড়ুন: Meta India থেকে ইস্তফা দিলেন অজিত মোহন, যাচ্ছেন কি প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থায়?

লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানানি। তবে অভিজিত্ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, মেটার রাজীব আগরওয়াল অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন। আর সেই কারণেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। রাজীব আগরওয়াল গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। প্রাক্তন আইএএস অফিসার তিনি। সেই সময়ে ফেসবুক ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পলিসি প্রধান আঁখি দাস অক্টোবরে পদত্যাগ করেছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুকের ‘ঘৃণাসূচক বার্তা’র নীতি প্রয়োগ করার বিরোধী ছিলেন তিনি। তুমুল বিতর্কের মাঝে তিনি পদত্যাগ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়া এখন অতীত। বর্তমানে মেটাভার্স-ই ধ্যানজ্ঞান ফেসবুকের। আর তার পিছনে বিপুল বিনিয়োগ করছে সংস্থা। এদিকে তার ফল পেতে এখনও প্রায় ১০ বছর লেগে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার আর্থিক রিপোর্টে এই বিপুল খরচের বোঝা স্পষ্ট হচ্ছে। এই লম্বা সময় ধরে খরচে নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়োগ বন্ধ করতে হয়েছে সংস্থাকে। বিভিন্ন অন্য প্রকল্পে ঝাঁপ ফেলতে হয়েছে। খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন টিমকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এদিকে খারাপ আর্থিক রিপোর্টের কারণে হু-হু করে পড়ছে মেটা-র শেয়ার দর। মেটাভার্সের প্রাথমিক প্রোডাক্ট ডেমো-তেও চিঁড়ে ভেজেনি।

এমনিতেই বিশ্বজুড়ে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের গতি হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় সব সংস্থাই ছাটাই করছে। মেটা-ও তার ব্যাতিক্রম নয়। সম্প্রতি প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মেটা।