ত্বকে বয়সের ছাপ? আটকানো যাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মানলেই

ত্বকে বয়সের ছাপ? আটকানো যাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মানলেই

বার্ধক্য শরীরের খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বয়সের কোঠা চল্লিশ পেরোলেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে ত্বকের জেল্লা কমতে শুরু করে। ত্বকের বার্ধক্য মনের উপরেও প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, বয়স বাড়লে নানা শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।

তবে, বিশেষজ্ঞদের কথায়, বার্ধক্যের এই লক্ষণগুলো সহজেই এড়ানো যেতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন রোজকার জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা। শরীর কতটা সুস্থ থাকবে তা নির্ভর করে আমাদেরই কিছু অভ্যাসের উপর। অভ্যাসগুলো পাল্টালেই বার্ধক্যজনিত লক্ষণ এড়ানো যেতে পারে।

স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শদাতা ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ওয়ান ডলেগোস্কি এমন আটটি উপায়ের কথা জানাচ্ছেন। এই উপায়গুলো মানলে সহজেই বয়সের ভার লুকোনো যেতে পারে।

১. ভারোত্তোলন: ভারোত্তলন ত্বকের বলিরেখা আটকাতে পারে না। তবে শরীর সতেজ ও সবল রাখার জন্য ভারোত্তোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। নিয়মিত ভারোত্তোলন করলে শরীরের পেশি শক্ত হয়। এর ফলে বয়সজনিত শারীরিক দুর্বলতা সহজেই এড়ানো সম্ভব।

২. প্রতিদিন হাঁটা: নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস শরীরের পেশি সচল রাখে। এছাড়া বয়সের ছাপও সহজে পড়তে দেয় না। হাঁটার জন্য কোনওরকম যন্ত্রও লাগে না। যখন যেখানে ইচ্ছে হাঁটা যেতে পারে। ফলে শরীরের তারুণ্য ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় এটি।

৩. নিয়মিত ঘুম: ঘুমের ঘাটতির ফলে স্ট্রেস ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। এর থেকে দেখা দেয় শারীরিক দুর্বলতা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যা বাড়তে থাকে। বয়সের ভার আয়ত্তে রাখতে হলে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনো দরকার।

৪. মদ্যপান কমানো: নিয়মিত মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ও শরীরে তার প্রভাব পড়তে পারে। অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় শরীরের কগনিটিভ কার্যক্ষমতার ক্ষতি করে। হরমোনের ভারসাম্যে হেরফের ঘটে। একইসঙ্গে, পেট ও যক্কৃতের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. স্বাস্থ্যকর ডায়েট: স্বাস্থ্যকর ডায়েট বার্ধক্য এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোজকার খাবারে তাই শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফাইবার থাকা জরুরি। এই পুষ্টি উপাদানগুলো বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকলাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে বয়সজনিত বিভিন্ন রোগও এড়ানো সম্ভব হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ডায়েট থেকে বাদ রাখাই ভালো।

৫. মন ভালো রাখুন: শরীরের বার্ধক্যের পাশাপাশি মনের বার্ধক্য এড়ানোও জরুরি। নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম ও মনের কাউন্সেলিং নানারকম মানসিক চাপ কমায়। এতে গুরুতর সমস্যায় মন ভেঙে পড়ে না।

৬. স্বাভাবিক থাকুন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কিছু পরিবর্তন অনিবার্য। এর উপর মানুষের হাত থাকে না। বরং এগুলো মেনে নিয়েও জীবনের অন্যান্য প্রাপ্তির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার অর্জিত সাফল্যগুলো নিয়ে ভাবুন। এই সাফল্যগুলোই আপনাকে কাজের শক্তি যোগাবে ও তরুণ রাখবে।