বুস্টার ডোজ নিয়েছেন? তারপরেও দেখা দিতে পারে ৫টি উপসর্গ

বুস্টার ডোজ নিয়েছেন? তারপরেও দেখা দিতে পারে ৫টি উপসর্গ

 

কোভিডের সংক্রমণ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করেছে কোভিড ভ্যাক্সিন। সঠিক সময়ে ভ্যাক্সিন নেওয়ার ফলে অনেকের ক্ষেত্রেই রোগ মারাত্মক আকার নেয়নি। এমনকী কোভিডে আক্রান্ত হলেও অল্পের উপর দিয়ে ফাঁড়া কেটে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন। তাঁদের কথায়, ভ্যাক্সিন কোভিড থেকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করতে পারে না। ভ্যাক্সিন নিলে শরীরে একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। ‌এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে। কিন্তু এর পরেও সংক্রমণ হতে পারে।

যেকোনও সংক্রমণেরই কিছু লক্ষণ থাকে। তেমনই কোভিড সংক্রমণেরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এই লক্ষণগুলো ভ্যাক্সিন নিলেও দেখা যেতে পারে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরে অনেকের শরীরের সেই লক্ষণগুলো দেখা দিয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে যে লক্ষণগুলো দেখা যেত তার মধ্যে অন্যতম ছিল গন্ধ না পাওয়া ও শ্বাসকষ্ট। তবে বুষ্টার ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই নিজেদের মধ্যে এমন কোনও লক্ষণ দেখেননি। বরং যে লক্ষণগুলো দেখা গিয়েছে, সেগুলো সাধারণ সর্দি কাশি হলেও দেখা যায়। এর ফলেই নতুন করে ভাবতে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতামত, এমন লক্ষণ দেখা দেওয়ার কারণ ভ্যাক্সিন। কোভিড ভ্যাক্সিন নেওয়ার ফলে কমে গিয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। এর ফলে পরিবর্তন এসেছে সংক্রমণের লক্ষণগুলোতেও।

টুইটার ব্যবহারকারীরাও তেমনটা মনে করছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখছেন, ২০২২ সালে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার সময় তিনি এই রোগে আক্রান্ত হন। তার আগে পর্যন্ত কোভিডের সমস্ত ডোজই তাঁর নেওয়া ছিল। ফলে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সেই রোগ তার শরীরে মারাত্মক আকার নেয়নি। ফলে এখন তিনি সুস্থভাবেই চলাফেরা করতে পারছেন। আরেক ব্যবহারকারী বলছেন, তাকে বুস্টার নিতে বলা সত্ত্বেও তিনি নেননি। এর ফলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সে সময় মাথা ব্যথা ছাড়া আর কোনও লক্ষণই ছিল না। সৌভাগ্যবশত, তার ক্ষেত্রেও রোগটি ভয়ানক আকার নেয়নি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, তিনমাস আগে তার একটি বুস্টার নেওয়া ছিল।

জো নামক কোভিড গবেষণাকারী অ্যাপ জানাচ্ছে, ভ্যাক্সিনের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই এমন মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এই উপসর্গগুলির মধ্যে ছিল মাথা ধরা, হাঁচি, নাক থেকে জল পড়া, কাশি ও গলা শুকিয়ে যাওয়া। শ্বাসকষ্টজনিত লক্ষণগুলো খুব কম রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)