#নয়াদিল্লি: বেশ কয়েক মাস ধরেই অশান্তি চলছিল আফতাব পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধা ওয়ালকারের মধ্যে। দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার ৯৩/১ নম্বর ফ্ল্যাটে মাঝে মাঝেই এ নিয়ে ঝগড়া করতেন আফতাব ও শ্রদ্ধা। দিল্লিতে হাড়হিম এই খুনের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে টুকরো টুকরো করার সূত্রপাত ছিল সংসারের খরচ কে চালাবে তাই নিয়ে।
শুধু তাই নয়, একে অপরের প্রতি বিশ্বাসও হারিয়ে ফেলছিলেন শ্রদ্ধা ও আফতাব। শ্রদ্ধার বন্ধু, ভাসাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টের মালিক ও প্রতিবেশীরা সেই অশান্তির শব্দ মাঝে মাঝেই শুনতেন, জানতে পারতেন। আফতাবকে জেরা করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ১৮ মে বাড়ির কিছু মুদি সামগ্রী কেনা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত হয়। রাত ৮ থেকে ১০ টায় ঘটে এই ঘটনা। এর পরই রাগে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।
পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব জেরায় স্বীকার করেছে, শ্রদ্ধার দেহ সে রাত ঘরেই ছিল। পরদিন ফ্রিজ ও ছুরি কিনে এনে দেহ ৩৫টি টুকরো করেছিল সে। সেই টুকরো ফ্রিজে ভরে রেখেছিল। এরপর লাগাতার ১৮ দিন ধরে সামনের জঙ্গলে এক এক করে ফেলতে শুরু করেছিল সে। শ্রদ্ধার বাবা গত কয়েক মাস ধরে মেয়ের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করতে পেরে দিল্লি পুলিশের কাছে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন৷ এর পরেই আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার দাবি করেছেন, ডেটিং অ্যাপে অন্য মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই আফতাব এবং শ্রদ্ধার মধ্যে ঝগড়ার অন্যতম মূল কারণ ছিল৷ ওই তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘আফতাব আমাদের জানিয়েছে, শ্রদ্ধা ওর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্কই তিনি মেনে নিতে পারতেন না৷ যদিও আফতাব অভিযোগ করেছে, ওই একই অ্যাপ ব্যবহার করে শ্রদ্ধাও অন্য পুরুষদের সঙ্গে দেখা করতেন৷ আফতাব আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ ফ্রিজে রাখা থাকলেও একাধিক মহিলাকে ফ্ল্যাটে ডেকে তাঁদের শয্যাসঙ্গিনী করেছিল সে৷’