চিরতাঃ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, হাঁপানি থেকে মুক্তি দেবে এই উপাদান, এর গুণ জানলে অবাক হবেন

চিরতাঃ  রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, হাঁপানি থেকে মুক্তি দেবে এই উপাদান, এর গুণ জানলে অবাক হবেন

#কলকাতা:  নিমের মতই গুণে সমৃদ্ধ চিরতা। বহু দূরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় চিরতা ব্যবহৃত হয়। জ্বর, কাশি, পেটে ব্যাথা,ক্ষুধামন্দা, অন্ত্রের কৃমি, চর্মরোগ, প্রদাহজনিত সমস্যা, রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, হাঁপানি এমনকি ক্যান্সারেরও চিকিৎসায় চিরতা ব্যবহৃত হয়।

ভারতে ম্যালেরিয়ার পথ্য হিসেবেও চিরতার রস ব্যবহার করা হয়। চিরতার ছাল ও  মূল এর ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। চিরতায় থাকা উপাদান  ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায় যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়।

চিরতা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলিকে সক্রিয় করে যা ইনসুলিন তৈরি করে। চিরতা লিভারকে ডিটক্সিফাই করে। চিরতা লিভার এবং কিডনির বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে। চিরতা হেপাটোপ্রোটেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীর থেকে সমস্ত ধরণের ক্ষতিকারক বিষ দূর করে।

নিয়মিত চিরতার জল পান করলে রক্ত বিশুদ্ধ হয় অর্থাৎ এতে উপস্থিত রাসায়নিকগুলি কৃমি নাষক হিসেবে কাজ করে। এটি সব ধরনের কৃমি মেরে শরীর থেকে বের করে দেয়। চিরতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

হাঁপানি রোগীদের জন্যও চিরতা অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত চিরতার সেবনে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। চিরতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সবদিক দিয়ে স্বচ্ছ করে তোলে। এটি ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা যেমন ব়্যাশ, চুলকানি, ফোলাভাব, জ্বালাপোড়া, লালভাব ইত্যাদি দূর করে।

তবে অত্যধিক মাত্রায় চিরতা সেবন করলে  বমি, মাথা ঘোরা, তন্দ্রা এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। তাই নিয়মিত খুব স্বল্প মাত্রায় চিরতা সেবন করা উচিৎ।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

(Feed Source: news18.com)