জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে অনেক বাধা পেরিয়ে চাঁদে পৌঁছতে পারল নাসার আর্টেমিস-১। চন্দ্রযান ওরিয়ন চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ৮০ মাইল দূরে অবস্থান করছে ওরিয়ন। গত সপ্তাহে চাঁদের দিকে পাড়ি দিয়েছিল আর্টেমিস-১। তার সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব হয় বুধবার। নাসাসূত্রে খবর, চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছেছে ওরিয়ন। তার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১০২ মাইল! চাঁদে গিয়ে সেখান থেকে পৃথিবীর ছবিও তুলে পাঠিয়েছে ওরিয়ন। সেই ছবি নাসা সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠিয়েও দিয়েছে। ওরিয়নের তোলা সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, আকাশে নীল গোল বলের মতো অবস্থান করছে আমাদের পৃথিবী! একেবারেই উজ্জ্বল নয়। ২ লক্ষ ৩০ হাজার মাইল দূর থেকে পাওয়া এই ছবি পৃথিবীর। যে ছবি দেখে আল্পুত অনেকেই। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, মিশন ‘আর্টেমিস-১’ আশাতীত ভাবে সফল হয়েছে। এর আগেও চাঁদের পথে ওরিয়নের অবস্থানের কিছু ছবি পোস্ট করেছিল নাসা। সেখানে দেখা গিয়েছিল মহাকাশযানটি কী ভাবে মহাশূন্যের গাঢ় নিকষ অন্ধকার ভেদ করে চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে!
‘আর্টেমিস’ মিশনের মাধ্যমে চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা। মোট তিনটি ধাপে এই মিশন সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ‘আর্টেমিস-১’-এর মাধ্যমে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। ৩২২ ফুট বা ৯৮ মিটার দৈর্ঘের কোনও রকেটের এই ধরনের টেস্ট ফ্লাইট এই প্রথম। নাসার আর্টেমিস মিশনে যে জাতীয় রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মেগা মুন রকেট। তৃতীয়বারের উৎক্ষেপণ-প্রচেষ্টার পর এটি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে।
আর্টেমিস ১ মিশনে ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপসুল এবং একটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটকে টেস্ট করা হল। এটি পরীক্ষামূলক, ফলত ‘আনম্যানড’। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এর পরে আছে আর্টেমিস-২। এর টার্গেট ২০২৪ সাল। অ্যাপোলো ৮ যেভাবে তার মিশন পূর্ণ করেছিল, এও তেমনই করবে। এই মিশনেও মানুষ থাকবে না। তবে আর্টেমিস-৩ মিশনে প্রথম মানুষ থাকবে। চাঁদের দক্ষিণে যেখানে জল বরফের আকারে জমে রয়েছে সেখানেই নাসার চন্দ্রযান প্রথম ল্যান্ড করবে বলে ঠিক হয়ে আছে। আর্টেমিস ৩-এর সম্ভাব্য সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।
(Feed Source: zeenews.com)