#আগরতলা: ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন, হল। যা ত্রিপুরা রাজ্যের যুবদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশে ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে জানাচ্ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। রাজ্যের জাতি জনজাতি অংশের যুবক যুবতীদের অনেকের মধ্যেই সাংস্কৃতিক প্রতিভা রয়েছে। প্রতিভা বিকশিত করার জন্য উপযুক্ত মঞ্চ প্রয়োজন। ত্রিপুরায় ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট তাঁদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকশিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। নজরুল কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনওদিন ভাবিনি আমাদের রাজ্যে ফিল্ম ইনস্টিটিউট গড়ে উঠবে। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় তা বাস্তব রূপ পেয়েছে। প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী, সুরকার শচীন দেববর্মণ এবং রাহুল দেববর্মণের কথাও আলোচনায় তুলে ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই গান, বাজনা, সাংস্কৃতিক চিন্তা ভাবনা লুকিয়ে আছে। তাকে বিকশিত করতে হয়। উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এই ইনস্টিটিউটের জয়যাত্রা ছাত্রছাত্রীদের উপর যেমন নির্ভর করবে, তেমনি শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন এই ইনস্টিটিউট ভবিষ্যতে সুনাম অর্জন করবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এই প্রথম রাজ্যে ফিল্ম ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করল। এই ইনস্টিটিউটে স্ক্রিন অ্যাকটিং, ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট এবং নিউজ রিপোর্টিং, অ্যাঙ্করিং, নিউজ রুম অটোমেশন এই ৪টি কোর্স রয়েছে। এই ইনস্টিটিউটে এবছর ৪৭ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। পড়ার ১০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার বহন করবে। ১০ শতাংশ অর্থ ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ ও এসআরএফটিআই, কলকাতার অধিকর্তা হিমাংশু শেখর কাথুয়া প্রমুখ।রাজনৈতিক মহলের মতে, যুবদের ভোট টানার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি। তাই এই ফিল্ম ইন্সটিটিউট শুরু করা হল।
(Feed Source: news18.com)